ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে সবজির দাম বাড়েনি, চাল-তেলের বাজার অস্থির

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
চট্টগ্রামে সবজির দাম বাড়েনি, চাল-তেলের বাজার অস্থির ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে মাছ-মাংসের পাশাপাশি চাল-ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নগরের বক্সিরহাট কাঁচাবাজার, চকবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, শিম ২৫-৩০ টাকা, শিমের বিচি ৬০-৭০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, লাউ ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকা।

মাছের বাজারে দেশি রুই প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১১০-১৩০ টাকা, কাতাল ১৯০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, লইট্যা ৯০-১০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ টাকা, কৈ ৫০০ টাকা, শিং ৫৫০ টাকা, ইলিশ ৩৫০ টাকা, কোরাল ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

মাংসের বাজারে খাসির মাংস ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।  

এদিকে বাজারে চাল ও ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। ৫০ কেজি কাটারি আতপ ৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বস্তাপ্রতি দেশি বেতি ও সিদ্ধ নুরজাহান চালের দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা।

টিসিবি’র তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি খুচরা বাজারে সরু চালের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে সরু চালের দাম বেড়েছে ৫.২৬ শতাংশ।   মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়। বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৭.০২ শতাংশ।  মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩৫.২৯ শতাংশ।

চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওমর আজম বলেন, শর্তের কারণে অনেকে অনুমোদন নিয়েও চাল আমদানি করতে পারেনি। চাল আমদানির অনুমতি উন্মুক্ত করে দিলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসতো।  

টিসিবি সূত্র জানায়, এক বছরের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২৮.৮৯ শতাংশ। বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিক্রি হয় ৪৭০ থেকে ৫২০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ থেকে ৬২৯ টাকায়। দাম বেড়েছে ২০.২০ শতাংশ।  খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৭ থেকে ১০০ টাকায়। দাম বেড়েছে ২৯.৬১ শতাংশ।

তবে খুচরা বাজারে ভোজ্য তেল বিক্রি হচ্ছে টিসিবি’র দেওয়া মূল্যের চেয়েও বেশি দামে। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটার ১৩০ টাকায়। প্যাকেটজাত তেল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ব্যবসায়ী মো. আলমগীর জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।