ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ২৭০০ নতুন অটোরিকশা প্রতিস্থাপন করেছে বিআরটিএ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
চট্টগ্রামে ২৭০০ নতুন অটোরিকশা প্রতিস্থাপন করেছে বিআরটিএ ...

চট্টগ্রাম: ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০০৪ মডেলের সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন (নতুন গাড়ি) করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ইতিমধ্যে ওই মডেলের ৩ হাজার ৬১৯টি সিএনজি অটোরিকশার মধ্যে ৩ হাজার ৫৯১টি গাড়ি স্ক্র্যাপ করা হয়েছে।

এর বিপরীতে ২ হাজার ৭০০ নতুন অটোরিকশা প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর প্রক্রিয়া চলছে।
 

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরে ২০০১ থেকে ২০০৫ মডেলের ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন দিয়েছে বিআরটিএ। এসব সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনের সময় মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ বছর। পরে মালিক ও চালকদের দাবির মুখে তিন দফায় অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়। পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যে ঢাকায় নিবন্ধিত ১৩ হাজার অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়।  

চট্টগ্রামে ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ মডেলে তৈরি এমন সাড়ে ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করে ২০১৮-১৯ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়। করোনার কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ ২০০৪ মডেলের সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করার কাজ প্রায় ১০ মাস বন্ধ ছিল। গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে পুনরায় স্ক্র্যাপ করার কাজ শুরু করে বিআরটিএ। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ৩ হাজার ৬১৯টি  ২০০৪ মডেলের পুরনো সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিকরা সরকারের নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে নতুন রিপ্লেসমেন্ট নম্বর নিচ্ছেন। বিআরটিএর কেউ যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম করতে না পারে তার জন্য বেসরকারি কয়েকটি শো-রুমকে ডাটা এন্ট্রি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ইমাম ডেন্টিং, জাফর অ্যান্ড কোম্পানি, রাজামিয়া অ্যান্ড সন্স, এসবি করপোরেশন, গাউসিয়া ট্রেডার্স, মেসার্স দিলু মিয়া, বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, মঞ্জুর অ্যান্ড কোম্পানি ও শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ।  

সিএনজি অটোরিকশা মালিক নুরুল ইসলাম জানান, আমি চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয় থেকে চারটি সিএনজি স্ক্র্যাপ করেছি। প্রথমে দালাল টাকা চেয়েছিল। এরপর বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সব কাজ শেষ করি। কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। উল্টো ৪টি গাড়ির লোহালক্কড় বাবদ ৮ হাজার টাকা পেয়েছি।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০০৪ মডেলের সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করেছে চট্টগ্রাম বিআরটিএ। একই সঙ্গে অঙ্গীকারনামা নিয়ে নতুন গাড়ি প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি খরচে স্ক্র্যাপ করার পর লোহালক্কড় যা থাকছে তা গাড়ির মালিক নিয়ে যাচ্ছেন কিংবা বিক্রি করে দিচ্ছেন। কোনো ধরনের অনিয়ম বা ভোগান্তির সুযোগ নেই।    

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad