চট্টগ্রাম: ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’, ‘মনের বাগানে’, ‘সোনাবন্ধু’ কিংবা ‘দেখে যারে মাইজভাণ্ডারে’ গানের অমর স্রষ্টা আবদুল গফুর হালী। চট্টগ্রামের প্রথম শিল্পী হিসেবে কপিরাইট সনদ পেল কালজয়ী সংগীতজ্ঞ আবদুল গফুর হালীর ৩০০ গান ও ছয়টি আঞ্চলিক নাটক।
রোববার (২৩ জানুয়ারি ২০২১) দুপুরে ঢাকার জাতীয় গ্রন্থাগারের কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন ও রিসার্চ সেন্টারের সেক্রেটারি, সাংবাদিক নাসির উদ্দিন হায়দারের হাতে গফুর হালীর গান ও নাটকের কপিরাইট সনদ হস্তান্তর করেন।
জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘আবদুল গফুর হালী হলেন চাটগাঁইয়া গানের প্রধানতম রূপকার।
মোহাম্মদ মহসিন বলেন, চট্টগ্রামের কোনো শিল্পীর গান এই প্রথম কপিরাইট সনদ পেল-যা আমাদের জন্য গর্বের। চট্টগ্রামের হাজার বছরের ইতিহাস গফুর হালীর গান অনবদ্য সৃষ্টি। তার গান সংরক্ষণে দারুণ একটি উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত থাকতে পেরে আমরা পিএইচপি পরিবার গর্ববোধ করছি।
নাসির উদ্দিন হায়দার বলেন, আবদুল গফুর হালী টানা ছয় দশক চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের গান গেয়েছেন। তার গানে প্রকৃতির পাশাপাশি ঐশীপ্রেম, সুফিবাদ-প্রেমবাদ পুষ্পিত হয়েছে। চট্টগ্রামের লোকসংগীত শিল্পীদের মধ্যে প্রথম গফুর হালীর ৩০০ গানের স্বরলিপি হয়েছে। চট্টগ্রামের প্রথম শিল্পী হিসেবেও সেই গফুর হালীর গান ও নাটক কপিরাইট স্বীকৃতি পেয়েছে, এটা চট্টগ্রামের জন্য বড় অর্জন।
সুফি মিজান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ এবং পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক আনোয়ারুল হক চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় আবদুল গফুর হালীর ৩০০ গানের স্বরলিপিসহ তিনটি গীতিকাব্য ‘সুরের বন্ধন, শিকড়, দিওয়ানে মাইজভাণ্ডারী’ ও ‘চাটগাঁইয়া নাটকসমগ্র’ প্রকাশিত হয়েছে। গফুর হালীর ৭৬টি মাইজভাণ্ডারী গান জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়েছে। গফুর হালীর গান ও জীবন নিয়ে জার্মানির হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. হান্স হার্ডার প্রকাশ করেছেন গবেষণাগ্রন্থ ‘ডার ফেরুখটে গফুর স্প্রিখট’ (পাগলা গফুর বলে)। গফুর হালীর গান নিয়ে গবেষণা করেছেন বিশ্বখ্যাত নৃবিজ্ঞানী পিটার জে বার্টুসি ও আমেরিকার সংগীত গবেষক ড. বেঞ্জামিন ক্রাকাউরসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এআর/টিসি