ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চাহিদা ৫০০০০ চালকের, মিলছে মাত্র ১৫০০০: শাজাহান খান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
চাহিদা ৫০০০০ চালকের, মিলছে মাত্র ১৫০০০: শাজাহান খান বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য শাহজাহান খান

চট্টগ্রাম: দেশে প্রতিবছর ৫০ হাজার চালকের চাহিদা থাকলেও মাত্র ১০-১৫ হাজার চালক মিলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সংসদ সদস্য শাজাহান খান। দক্ষ চালক তৈরি করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

 

নগরের কদমতলী এলাকায় হাজী আবুল খায়ের মেম্বার মার্কেট চত্বরে আয়োজিত বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

শাহজাহান খান বলেন, পণ্য পরিবহন সেক্টর হচ্ছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবহন শ্রমিকদের অর্থনৈতিক পরিবর্তন, জীবন মানোন্নয়ন ও নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।  

তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন জরুরি। এ আইনে কিছু কিছু ধারা আছে যা মরার উপর খাঁড়ার ঘা। এ আইন সংশোধন করার জন্য ৩৪টি সংশোধনী দিয়ে সরকার ও আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে। আশাকরি সুফল মিলবে।  

পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এ সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। পরিচালনা ব্যয় ও কল্যাণ তহবিলের খরচ চাঁদাবাজি নয়, তবে সংগঠনের নামে কেউ চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

শাহজাহান খান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসারে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব জেলায় ট্রাক টার্মিনাল গড়ার জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। একইসাথে পরিবহন চালক-হেলপারদের বিশ্রামসহ খাবারের জন্য নির্দিষ্ট হোটেল-রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাও করা হবে।
 
সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মালিক-শ্রমিকের মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে। নসিমন, করিমন ও ভটভটি মহাসড়কে চলাচলের কোনো অধিকার নেই। এগুলোর কারণে সড়ক নিরাপদ হচ্ছে না। তাই এগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।  

তিনি বলেন, পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা অর্থনীতির রক্ত প্রবাহ। পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে আমরা তা সহ্য করব না। শাহজাহান খানের নেতৃত্বে সারাদেশে পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। বাস-ট্রাক ও পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন ও ফেডারেশনের বাইরে কোন অবৈধ সংগঠন থাকতে পারবে না।  

সংগঠনের সভাপতি মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. নুরুল আবছারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি রুস্তম আলী খান প্রমুখ।  

দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে মো. আবদুল মান্নানকে সভাপতি, আবু বক্কর সিদ্দিককে কার্যকরী সভাপতি, দীন মোহাম্মদকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মো. নুরুল আবছারকে মহাসচিব ও হুমায়ুন কবির সোহেলকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব করে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।