ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম গণহত্যার নির্দেশদাতারা গণদুশমন: এমপি মোশাররফ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
চট্টগ্রাম গণহত্যার নির্দেশদাতারা গণদুশমন: এমপি মোশাররফ  চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসের স্মরণানুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি এই চট্টগ্রামে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রচেষ্টা হয়েছিল। সেদিন তিনি নেতা-কর্মীদের প্রতিরক্ষায় বেঁচে গিয়েছিলেন।

এরপর তাঁকে ২৪ বার হত্যার অপচেষ্টা হয়েছে। বাংলার জনগণ ও জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তা প্রতিহত করেছেন।
 

রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে আদালত ভবনের সামনে শহীদ বেদি চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের স্মরণানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
তিনি আরো বলেন, বিচার প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণে ২৪ জানুয়ারির গণহত্যার বিচার জাতি পায়নি। আমি আশাবাদি, দেশে আইনের শাসন চলছে। আইন মোতাবেক বিচার হবেই। চট্টগ্রাম গণহত্যার নির্দেশদাতারা গণদুশমন। দীর্ঘ ৩১টি বছর পেরিয়ে গেলেও এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মামলাটি আজও নিষ্পত্তি হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে দোষীদের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, আর যাতে কোনও দলীয় উচ্চ রাজনৈতিক সমাবেশে ঘৃণ্য ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড না ঘটে, সুস্থ মননের চর্চা যাতে রাজনীতিতে চালু হয় সেজন্য এই হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার আজ সময়ের দাবি।  

আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন জানাই- ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সংঘটিত গণহত্যার বিচার নিষ্পত্তি হোক। এই বিচার প্রক্রিয়ায় যারা বাধা দিচ্ছে, তাদেরও শনাক্ত করে ন্যায়বিচার করুন। তৎকালীন সময়ে যারা স্বৈরাচার বিরোধী লড়াইয়ে চট্টগ্রামে ছিলেন তারা এই মঞ্চে উপস্থিত আছেন। সেই ত্যাগী সাবেক ছাত্র ও যুব নেতাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তারা আমাদের রাজনৈতিক লড়াইয়ে পাথেয়।  

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি বলেন, জনগণের দুশমন স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনো ক্ষমতায় আসতে পারে না। এরা পাকিস্তানি ভাবাদর্শে বিশ্বাসী। এরা দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। এই অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।  

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, যারা বাংলা ও বাঙালিকে অস্বীকার করে তারা জাতি ও মানবতার শত্রু। বিবেকহীন এই পাষণ্ডদের শাস্তি পেতেই হবে। এই মুহূর্তে বিভেদ আর নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি। এই সত্যকে উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২৪ জানুয়ারির গণহত্যা ছিল সুপরিকল্পিত। সেদিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে স্বৈরশাসন চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।  

মহানগর আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্মরণানুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, প্রদীপ কুমার দাশ, শফিকুল ইসলাম ফারুক, মশিউর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুল হক মিয়া, আবদুল আহাদ, আবু জাফর, খোরশেদ আলম, আবুল মনসুর, বখতিয়ার উদ্দিন খান, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, হাজী ছিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, আনছারুল হক, জানে আলম প্রমুখ।

আরও খবর >> চট্টগ্রাম গণহত্যার ৩৩ বছর

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।