ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রান্সপোর্ট প্রতিনিধিদের জন্য বন্দরের পাস ইস্যুর দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
ট্রান্সপোর্ট প্রতিনিধিদের জন্য বন্দরের পাস ইস্যুর দাবিতে মানববন্ধন ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালাস করে ট্রাক, কাভার্ডভ্যানে বোঝাই করার সময় বুঝে নেওয়ার জন্য ট্রান্সপোর্ট প্রতিনিধিদের নামে পাস ইস্যুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে আন্তঃজিলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে বন্দর ভবনের সামনের ফটকে এ মানববন্ধন শেষে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদকে স্মারকলিপিও দেন সমিতির নেতারা।

সমিতির পক্ষ থেকে ‘এডিআর ১৯৬৪’ আইনটি সংশোধন করে পণ্য পরিবহন সেক্টরকে বন্দরের অন্যতম ব্যবহারকারী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্দরে প্রবেশে ফি প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।  

সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুল আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি লতিফ আহাম্মদ।

 

বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান ট্রাক প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও আন্তঃজিলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহম্মদ বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও দেশের কারখানাগুলোতে আমদানি-রফতানি ও উৎপাদিত পণ্য সড়কপথে দেশে বিভিন্ন গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছে দেন ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইমমুভার ও ট্রান্সপোর্ট মালিকরা। পণ্য পরিবহনে আমদানিকৃত মালামাল বন্দর থেকে বুঝে নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো এবং গুনে বুঝিয়ে দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন ঠিকাদারদের দায়িত্ব। প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যে পরিমাণ পণ্য খালাস হয় তার প্রায় শতভাগ কাভার্ডভ্যান, ট্রাক ও প্রাইমমুভারের মাধ্যমে পরিবহন করি আমরা।  

বন্দরের ভেতরে গাড়িতে পণ্য লোড করার আগে আমদানিকৃত পণ্যের পরিমাণ, প্যাকিং ও ওজন ঠিক আছে কিনা এসব বিষয় আমদানিকারকের পক্ষে ট্রান্সপোর্ট প্রতিনিধিদের নিজ দায়িত্বে গণনা করে বুঝে নিতে হয়। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার সমস্যা দেখা দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে আমদানিকারক বা তার প্রতিনিধিকে অবহিত করতে হয়। নয়তো ট্রান্সপোর্ট মালিক ও গাড়ির মালিককে সব দায় বহন করতে হয়। অথচ এ গুরুদায়িত্ব পালনের জন্য ট্রান্সপোর্ট প্রতিনিধিদের বেসরকারি অফডক বা প্রাইভেট কনটেইনার ডিপোগুলোতে ঢুকতে দেওয়া হলেও বন্দরের অভ্যন্তরে বৈধভাবে ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। নিকট অতীতে সিএন্ডএফের নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে স্ব স্ব ট্রান্সপোর্ট প্রতিনিধিদের ঢোকার সুযোগ দেওয়া হতো।  

পরবর্তীকালে বন্দরের আদেশক্রমে যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া সেই সুবিধাও প্রত্যাহার করা হয়। ফলে পণ্য পরিবহন ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।  

আমরা অন্যতম বন্দর ব্যবহারকারী হলেও এর কোনো স্বীকৃতি নেই যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। এসব সমস্যা নিরসনে বিকল্প হিসেবে আমদানিকৃত পণ্য বন্দরের বহির্ভাগে লোড দেওয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাই। অন্যথায় আগামী ১ মার্চের পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি সরবরাহ তথা পণ্য পরিবহন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবো।  

আইন ও বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন বাবুল বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের গেইট পাস সরকারি ভাবে নির্ধারণ করা হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন নেই, বিভিন্ন সময় ইচ্ছে মতো ফি আদায় করা হয়। এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন সময় হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা নিরসনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্দরের প্রবেশ ফি গ্রহণের বিকল্প নেই।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন সমিতির সহ-সভাপতি এম কিবরিয়া দোভাষ, মো. কমর উদ্দিন সবুর, মো. ইউসুফ মজুমদার মানিক, মো. আরিফুর রহমান রুবেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন বাবুল, দফতর সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান মুন্না, প্রচার সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. নুরে আলম রনী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সামসুজ্জামান সুমন, কার্যকরী সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, জাফর আহম্মদ ভূঁইয়া, মো. হারুন উর রশিদ দিদার, মো. নুরুল ইসলাম সাহাব উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির পারভেজ, দেওয়ানহাট ট্রাক মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. এমরান শাহীন, পাহাড়তলী সরাইপাড়া ট্রাক মিনি ট্রাক পিকআপ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ইসলাম খান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।