ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অল্প লিজ বেশি দখল, রেলের জমি উদ্ধারে অভিযান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
অল্প লিজ বেশি দখল, রেলের জমি উদ্ধারে অভিযান

চট্টগ্রাম: হাটহাজারীর নাজিরহাট রেল লাইনের পাশে অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন এই অভিযান পরিচালনা করেন।

রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, হাটহাজারী উপজেলার নাজিরহাট রেল লাইনের পাশে রেলওয়ের মালিকানাধীন দুই নম্বর খতিয়ানের পূর্ব মন্দাকিনী মৌজার ১ হাজার ৮২৭ দাগের মোট ৫২ শতক জমি সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি দখলে রাখেন।  

তিনি ২১ শতক জমিতে ১৭টি সেমিপাকা ঘর এবং ২টি দোকান নির্মাণ করে প্রতিটি ঘর ৩-৪ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে ভাড়া দিয়েছেন।

 

একই দাগের ২৬ শতক জমিতে স্থায়ী ভিত দিয়ে দোতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে স্থাপন করেছেন মুরগির খামার। এছাড়াও ৩ দশমিক ৮৩ শতক জমিতে নির্মাণ করেছেন বায়োগ্যাস প্লান্ট। ওই জমি তিনি শুধু দখলই করেননি। একপাশে সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। দিয়েছেন বিশাল গেইট।

রুহুল আমিন বলেন, খালের মধ্যে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হবে। অবৈধ দখলদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, রেলওয়ে থেকে লিজ নিয়েছেন। লিজের কাগজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ১৪২৬ বাংলা সন পর্যন্ত কৃষি কাজের জন্য লিজ নিয়েছেন।  

তিনি বলেন, রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি ব্যস্থাপনা নীতিমালা-২০২০ এর ৩০ ধারায় বলা আছে চাষযোগ্য কৃষি ভূমি দুই বছরের জন্য লাইসেন্স প্রদান করা যাবে। লিজ গ্রহীতা কৃষি কাজের জন্য ৩০ শতক জমি লিজ নিলেও বাস্তবে তা কৃষি জমি নয়। ৩০ শতক লিজ নিয়ে দখল করেছেন ৫১ শতক।  

নীতিমালায় আবাসিক ঘর নির্মাণ নিষেধ থাকলেও ১৭টি ঘর ও দুইটি দোকান নির্মাণ করেছেন। দোতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে স্থায়ী স্থাপনা অর্থাৎ দোতলা ভবন নির্মাণ করেছেন, এক বছরের লিজে এরকম স্থাপনা নির্মাণ বিস্ময়কর। সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। খাল দখল করে বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ করেছেন।

উপজেলা প্রশাসন দুই দিনে খাল দখলমুক্ত করেছে। বাকি দখলের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে বলে জানান রুহুল আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
জেইউ/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।