ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিক নির্বাচন: অবৈধ ব্যানার পোস্টার তোরণ অপসারণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
চসিক নির্বাচন: অবৈধ ব্যানার পোস্টার তোরণ অপসারণ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

অভিযানে যানবাহনে নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানো, প্রচারণায় মাইক ব্যবহার এবং আচরণবিধি না মেনে ব্যানার পোস্টার ও তোরণ লাগানোর কারণে তা অপসারণ করা হয়।

প্রার্থীদের সতর্ক করা হয়।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম নগরের ১২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় যানবাহনে নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানো, প্রচারণায় মাইক ব্যবহার করায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীকে মুচলেকা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়।

নগরের ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ। তিনি যানবাহনে নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানোর দায়ে দুই জনকে ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। মাইজপাড়া জালালিয়া ভোটকেন্দ্রের সামনে বিপদজনকভাবে স্থাপন করা একটি তোরণ এলাকাবাসীর সহায়তায় অপসারণ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় নগরের ১৬, ২০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জহরলাল হাজারীর দলীয় মনোনীত লেখা ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা হয়।  

এছাড়া সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তের নিয়ম না মেনে লাগানো ব্যানার ও পোস্টার সরানো হয়। বৌদ্ধ মন্দির থেকে কোতোয়ালী থানা পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার সব অবৈধ ব্যানার ও পোস্টার অপসারণ করা হয়।  

নগরের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। এসব এলাকায় সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে লাগানো ব্যানার ও পোস্টার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় নামিয়ে ফেলা হয়। প্রার্থীদের টেলিফোনে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক ৪, ৫ ও ৬ ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে সব বড় ব্যানার সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

নগরের ৯, ১০ ও ১৩ ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। অভিযানে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ব্যানার ও পোস্টার লাগিয়ে যানবাহনে মাইক ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো অবস্থায় একটি মিনি ট্রাক ও একটি সিএনজি অটোরিকশা আটক করা হয়।

পরে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের মুঠোফোনে মৌখিকভাবে সতর্ক করে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।