চট্টগ্রাম: নগরের দেওয়ানবাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান রোহিত খুনের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোহিত খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর সোমবার (১৮ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার দুই আসামি হলো- সাইফুল ইসলাম বাবু (২০) ও মো. মহিউদ্দীন। এদের মধ্যে মহিউদ্দীন নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান ব্রিফিংয়ে জানান, এলাকাভিত্তিক ইট-বালি ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আশিকুর রহমান রোহিতকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ঘটনার আটদিন পর রোহিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তিনি জানান, পরে আসামিরা পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে দুই আসামিকে ঢাকার মুগদা ও মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসএম মেহেদী হাসান বলেন, গ্রেফতার এড়াতে মহিউদ্দীন নিজের দাড়ি কেটে ফেলে বেশভূষা পরিবর্তন করেছে। দুই আসামি পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মো. আবদুল রউফ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ, সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম ও বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, রোহিত হত্যার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন আছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। গ্রেফতার দুই আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি ছুরিকাঘাতে আহত হন ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান রোহিত। এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি রোহিতের ভাই জাহিদুর রহমান বাদি হয়ে বাকলিয়া থানায় তিনজনকে এজাহারনামীয় আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
১৫ জানুয়ারি ভোরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আশিকুর রহমান রোহিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
এসকে/এসি/টিসি