ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
‘কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না’

চট্টগ্রাম: কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয়ভাবে মনোনীত নয়। তাই তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না।

এজন্য গত দুই দিন সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে শনিবারের মধ্যে তাদের পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আচরণবিধি লংঘনের দায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এ কথা জানান।

এ দিন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসনের ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে নেতৃত্ব দেন।


নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, শনিবার দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আচরণবিধি পর্যবেক্ষন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কোতোয়ালি এলাকার ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় দেখা যায়, বেশিরভাগ কাউন্সিলররা পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেটে নিজেদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটি কাউন্সিলরদের নির্বাচন আচরণবিধি লংঘন। যেহেতু কাউন্সিলর দলীয়ভাবে মনোনীত নয় তাই তাদের এ ধরনের পোস্টার, ব্যানার,লিফলেট আজকের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় পরবর্তীতে আচরণবিধি লংঘনের দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়।  

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় ১৬, ২০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। কাউন্সিলর প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে মাইক দিয়ে প্রচারণা, দলীয়ভাবে মনোনীত লেখা পোস্টার গাড়িতে লাগিয়ে প্রচরণার দায়ে তিনি প্রার্থীর প্রচারকারী আনোয়ারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নগরের ১২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। কাউন্সিলর প্রার্থী নাজমুল হক ডিউকের পক্ষে অনুমতি ছাড়া মাইক ব্যবহার করায় তিনি প্রার্থীর দুই কর্মীকে আটকের আদেশ দেন। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া মেয়র প্রার্থী জান্নাতুল ইসলামের কর্মীরা গাড়িতে পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করায় পোস্টার অপসারণ করে তাদের ফেরত পাঠান ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার ২৭, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিনি বিধি বহির্ভূতভাবে ব্যানার, পোস্টার অপসারণ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ১ জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নগরের ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর। অভিযানে এক মেয়র প্রার্থীর রঙিন পোস্টার অপসারণ করা হয়। মেয়র প্রার্থীর সাথে কাউন্সিলর প্রার্থীর যৌথভাবে টাঙানো ব্যানার নামিয়ে ফেলা হয়।  
নগরের ১১, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান। তিনি এসব এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
এমআর/টিসি/এমএমআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad