চট্টগ্রাম: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে থেকেও সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নগরবাসীর প্রয়োজনীয় সেবা দিতে নিয়মিত নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সুজন বলেন, আমি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকলেও নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সবসময় চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকি।
তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে নগরের বিভিন্ন খাল-নালা-নর্দমা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ার খবর জানতে পেরে চসিকের যান্ত্রিক ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি।
প্রশাসক বলেন, বাদশা মিয়া রোডের ওয়্যার সিমেট্রি একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর সংলগ্ন খালটি বহুদিন যাবৎ ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে আছে। এই খাল দিয়ে পানি চলাচলের পথ বাধামুক্ত করতে এবং জমে থাকা আবর্জনা অপসারণ করতে চসিকের যান্ত্রিক ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের নিয়োজিত প্রায় শতাধিক জনবল দিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু করে শনিবার বিকেল পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, ওয়্যার সিমেট্রি’র আশপাশে অভিজাত শ্রেণির লোকজন বসবাস করেন। যেহেতু তারা সচেতন নাগরিক তাই তাদেরও কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। খাল বা নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেললে কোনভাবেই খাল নালাগুলো ভরাট হবে না। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ চলমান থাকবে। নগরবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবে।
সুজন বলেন, বছরের পর বছর আবর্জনার ভাগাড় হয়ে পড়ে থাকা ২ নম্বর গেইটের চশমা হিল সংলগ্ন খালের আবর্জনা ও মাটি অপসারণেও শুক্রবার সকাল থেকে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা এবং যান্ত্রিক বিভাগ। এই খাল থেকে উভয় বিভাগের সমন্বয় এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের শতাধিক সেবকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫০০ টন মাটি ও আবর্জনা অপসারন করে শনিবার বিকেলে পানি চলাচলের পথ সুগম করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
এমআর/টিসি