চট্টগ্রাম: চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট এলাকার পরিচিতি ‘বালুর টাল’ নামে। কর্ণফুলী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে নৌকা ভর্তি বালু এনে রাখা হয় কালুরঘাট সেতু সংলগ্ন এলাকা ও সড়কের পাশে।
জানা গেছে, রেলওয়ের এস্টেট বিভাগ কালুরঘাট সেতুর নিচে একটি নৌ-ঘাট চলতি বছরের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদে ইজারা দেয় হাজী মো. আলম নামে এক ব্যক্তিকে। এই ঘাটে প্রতিদিন আসছে বালুবোঝাই নৌ-যান।
কর্ণফুলী নদীর রাউজান উপজেলা অংশে কোয়েপাড়া, খেলার ঘাট, লাম্বুর হাট, পাঁচখাইন, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের উভলং, পালোয়ান পাড়া, চৌধুরীহাট ও কচুখাইন এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। বোয়ালখালীর কধুরখীল, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ এলাকার প্রায় ২৩ কিলোমিটার নদীর তীরবর্তী এলাকায় ৩১টি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এছাড়া রাঙ্গুনিয়ার কোদালা মৌজার ডংখালে ৯.৭৩ হেক্টর, দাঙ্গার চরে ১৮.১০ হেক্টর, শিলক মৌজার তৈলাভাংগায় ১১.৬৪ হেক্টর, ফকিরাঘাটে ৭০ হেক্টর, শিলকে ২৫.৪২ হেক্টর, সরফভাটা মৌজার ১৫.১১ হেক্টর, কাউখালি মৌজার ১.০১ হেক্টর, চেংখালি মৌজার ৪৫ শতক এলাকায় বালুমহাল রয়েছে।
কালুরঘাটের নৌ-ঘাট ইজারাদার হাজী মো. আলম জানান, বন্দর থেকে আড়াই কোটি টাকায় লিজ নিয়ে তিনি ওই জায়গায় বালুর ব্যবসা করছেন। পাশাপাশি রেলওয়ের কাছ থেকে ২১ লাখ টাকায় ঘাট ইজারা নিয়েছেন। চৌধুরীহাট এলাকা থেকে উত্তোলন করা বালু কালুরঘাটে এনে রাখা হয়।
রাউজান নোয়াপাড়া মৌজার কর্ণফুলী বালুমহাল-১ এর সরকার নির্ধারিত ইজারামূল্য ছিল সাড়ে ৫৮ লাখ টাকা। এর চেয়ে ভ্যাটসহ আরও প্রায় ২৪ লাখ টাকা বেশি দরে এই বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। গত বছরের ৭ জুন কার্যাদেশ পায় নুসরাত ট্রেডিং কোম্পানি।
নুসরাত ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী নাজিম উদ্দিন জানান, হালদা মুখ থেকে বেতাগী পর্যন্ত বালুমহাল-১ ইজারা নেওয়া হয়েছে ৮২ লাখ টাকায় । গত ৭ জুন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের পর নতুন ব্রিজ এলাকায় স্তূপ করে রাখা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কর্ণফুলী নদীর আশপাশের এলাকায় রয়েছে বালু সিন্ডিকেটের দাপট। তারা ইজারাপ্রাপ্তদের বালু উত্তোলনে বাধা প্রদান ও চাঁদাবাজি করছে। বালু ব্যবসার জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একেকটি ড্রেজার দিয়ে দিনে ৩০-৫০ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
এসএস/এসি/টিসি