ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৪১ ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলতে চান রেজাউল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
৪১ ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলতে চান রেজাউল পথসভায় বক্তব্য দেন রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মেয়র হলে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলবো। প্রতিটি ওয়ার্ডে মহিলাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) নগরের আগ্রাবাদ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল ও মেট্রোরেল নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করেছিলো।

পদ্মাসেতু হয়েছে, কর্ণফুলী টানেলের ৬১ ভাগ কাজ শেষ ও মেট্রোরেলের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের মুখে তালা লাগিয়ে দিয়েছে শেখ হাসিনা। জননেত্রী কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী।

‘শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিলো, অনেকে হেসেছিলো এই বলে-কীসের ডিজিটাল বাংলাদেশ? এটি কখনও সম্ভব নয়। কিন্তু সেই ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন দাঁড়িয়ে। সমালোচনাকারীরা এখন কী বলবেন?’ যোগ করেন রেজাউল।

তিনি বলেন, আমি ১৯৬৬ সাল থেকে রাজনীতি করি। পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্রলীগ করেছি। ১৯৬৭ সাল থেকে ছাত্রলীগের পদ-পদবি নিয়ে রাজনীতি করছি। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। নগরবাসীকে কথা দিচ্ছি, মেয়র হলে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াবো না।  

রেজাউল বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস-মাদক নির্মূল করে ছাড়বো। প্রত্যেক ওয়ার্ডে মহিলাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলবো। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবো।

শিশুদের জন্য প্রত্যেকটা খোলা জায়গাকে মাঠে রূপান্তর করা হবে উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, শিশুরা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছে। খেলাধূলা করার কোনো জায়গা নেই। প্রত্যেক ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করা যদিও সম্ভব হবে না, তবে আমি কথা দিচ্ছি যেখানে খোলা জায়গা সেখানে মাঠ সৃষ্টি করবো।

মাস্তানকে ভয় পাই না, সন্ত্রাস-মাদক নির্মূল করবোই

নিজের জীবনের ৫২ বছর রাজনীতি করেছেন উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ৫২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। কিশোর গ্যাংয়ের কথা বলা হচ্ছে। কিশোরদের দোষারোপ করে লাভ নেই। এদেরকে পরিবেশই এরকম হতে বাধ্য করেছে। যদি সাংস্কৃতিক চর্চা থাকতো, খেলাধূলা করার জন্য মাঠ থাকতো-কিশোররা এসবে ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু এখন এসব না থাকায় মোবাইল টিপাটিপি আর আড্ডার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে তাদের জীবন। এজন্য কিশোর অপরাধে তারা জড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি এসব কিশোর সন্ত্রাস নির্মূল করবোই। কারণ খারাপ মানুষের সংখ্যা ৫ শতাংশ আর ভালো মানুষের সংখ্যা ৯৫ শতাংশ। এই ৯৫ শতাংশ মানুষকে বলবো-যেখানে সন্ত্রাস দেখবেন প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। কারণ আমি আপনাদের পাশে থাকবো। মাস্তানদের আমি ভয় পাই না।

সৈয়দ মো. জাকা‌রিয়ার সভাপ‌তি‌ত্বে পথসভায় বক্তব‌্য দেন এ‌ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ মাহমুদুল হক, ‌সিরাজুল ইসলাম, আবদুস সামাদ,জাহাঙ্গীর আলম, আবদুর রহমান মিয়া, আবদুল বা‌রেক, এম এ হান্নান কাজল, নাজমুল হক ডিউক, ওসমান গ‌ণি আলমগীর, র‌বিউল হাসান সুমন, কাজী মাহমুদুল হাসান র‌নি, আ‌রিফুল ইসলাম, আবদুল্লা জুবা‌য়ের হিমু, বেলাল সাত্তার, সাইফু‌দ্দিন প্রমূখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
জেইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।