ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাঁশখালীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন পৌর মেয়র

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
বাঁশখালীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন পৌর মেয়র

চট্টগ্রাম: নগরের জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলার ঘটনায় এবার মুক্তিযোদ্ধাদের সভায় গিয়ে নিজেই ক্ষমা চেয়েছেন বাঁশখালী পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী।  

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বাঁশখালী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় গিয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ও বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হকের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

সভায় বক্তব্যকালে বাঁশখালী পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। যদিও আপনারা আমাকে ভুল বুঝতে পারেন। আমার ভুল হয়েছে আমি সেদিন গেলাম কেন। আমি মারামারি করতে যাইনি। যাক, কপালে দোষ আছে। তার জন্য এখন আমি প্রায়শ্চিত্য করছি। আপনারা মনে কষ্ট পেলে আমাকে মাফ করবেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে কখনো যেতে পারি না।

তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনার হয়তো মনে করছেন নির্বাচন আসছে বলে আপনাদের কাছে এসেছি। আমি ঘটনার পর থেকে রাজ্জাক ভাই, মানিক ভাইসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার সাথে যোগাযোগ করেছি। আমাকে ভুল না বুঝতে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম। সেদিন কি হয়েছিল আপনারা বুঝতেই পারছেন। আমি যদি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সেদিন না থাকতাম, ১নং আসামি না হতাম কে কোথায় চলে যেতো আপনারা ভালো জানেন। আমার উপর মুক্তিযোদ্ধাদের রাগ আছে তা জানি। আমি ইচ্ছে করে কিছু করি নাই। আমি কারো নামও ধরবো না, বদনামও করবো না। সব আপনারাই বুঝে নেন। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা করতে জামালখান যাইনি। আমাকে সামনে রেখে অতি উৎসাহীরা ব্যানার ছিঁড়ে ঘটনা ঘটিয়েছে।  

তিনি বলেন, আমি মেয়র হওয়ার পর আমাকে ধর্ষণ মামলাও দেয়া হয়েছে। কে দিয়েছেন তাও আপনারা জানেন। আমি নাম বলছি না। এখন আবার পৌর নির্বাচনে একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তার বাবার নাম আছে রাজাকারের তালিকায় ২০৪ নম্বরে। পৌরসভা থেকে ১ নম্বরে যার নাম পাঠানো হয়েছে তাদের নামটি কেটে দেয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কেউ মেয়র হলে এ বাঁশখালী পৌরসভা জামায়াত-বিএনপির ঘাঁটি হয়ে যাবে।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জহির উদ্দিন মো. বাবরের পরিচালনায় ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আবুল হাশেম মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর।  

বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশ, মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেন, আজিমুল ইসলাম ভেদু, মো. সোলেমান, আবুল বশর, আহমদ ছফা, অধ্যাপক আওরঙ্গজেব, দীপক দাশ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মনসুর আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শাহদাত হোসেন তানজু, যুগ্ম আহবায়ক মনজুর আলম, ছাত্রনেতা সাহাবুদ্দিন রবিন, এমএ আউয়াল টিপু প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।