ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে দুই ইটভাটা উচ্ছেদ, ১৫ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২১
চট্টগ্রামে দুই ইটভাটা উচ্ছেদ, ১৫ লাখ টাকা জরিমানা

চট্টগ্রাম: সাতকানিয়ায় অভিযান চালিয়ে দুইটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইট পোড়ানোর লাইসেন্স না থাকায় এসব ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়।

এছাড়া অভিযানে সাতটি ইটভাটাকে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এসব ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।  

অভিযানে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, র‍্যাব-৭ এবং ফায়ার সার্ভিস অভিযানে সহযোগিতা করে।

অভিযানে অনুমোদনবিহীন কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নে ১২০ ফুট চিমনিবিশিষ্ট দুইটি ইটভাটার কিলন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদ করা ইটভাটাগুলো হলো- মেসার্স এএসসি ব্রিকস ফিল্ড ও মেসার্স হাজী দানু মিয়া ব্রিকস।  

সাতটি ইটভাটাকে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার, মেসার্স মা ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার, হযরত আলী (র.) ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার, মেসার্স খাজা ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার, কাজী এম ব্রিকসকে ৫ লাখ, থ্রী স্টার ব্রিকসকে ২ লাখ ও জামাল ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।  

পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ও ইট পোড়ানোর লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সাতকানিয়ায় দুইটি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সাতটি ইটভাটাকে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব ইটভাটার ১৫ লাখ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, সাতকানিয়া উপজেলায় বৃহস্পতিবার অভিযানে গিয়ে দেখা যায় ইটভাটাগুলোর পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স নেই। কৃষি জমি ও পাহাড় থেকে মাটি নিয়ে ইট উৎপাদন করে আসছিল।  
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার সকল অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
এসকে/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।