ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিপ্লবীদের স্মৃতিরক্ষায় আইনি উদ্যোগে পিছপা হবো না: রানা দাশগুপ্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২১
বিপ্লবীদের স্মৃতিরক্ষায় আইনি উদ্যোগে পিছপা হবো না: রানা দাশগুপ্ত বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: নগরের রহমতগঞ্জে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত দেড়শ' বছরের পুরনো ভবন ভাঙার অপচেষ্টা বন্ধ করে ওই জায়গায় বিপ্লবীদের স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান।

এ দাবির প্রতি সংহতি জানান খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন, কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে দেশপ্রিয় যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত ও নেলী সেনগুপ্তের ওই জায়গার যেসব জাল দলিল সৃজন করা হয়েছে তা দেশের ঐতিহ্য কৃষ্টি রক্ষার স্বার্থে বাতিল ঘোষণা, চট্টগ্রাম জেলা যুগ্ম জজ প্রথম আদালত থেকে প্রদত্ত আদেশ ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিসকে না জানিয়ে সরকারি অর্পিত সম্পত্তি দখল করতে পুলিশি তৎপরতার যথাযথ তদন্ত, অর্পিত সম্পত্তিটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করে ঐতিহাসিকন ভবনটি অক্ষত রেখে পেছনে বহুতল ভবন তৈরি করে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন স্মৃতি জাদুঘর ও গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

কবি আবুল মোমেন বলেন, সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে 'বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যমণ্ডিত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা বস্তুসমূহকে বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। ' যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ও নেলী সেনগুপ্তের বাড়িটি সাংস্কৃতিক সম্পদ। এটির সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও নাগরিকদের। রাষ্ট্র উদাসীন থাকায় সচেতন নাগরিক হিসেবে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে এসেছি।

অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, চট্টগ্রাম আদালত ভবন ভাঙার যখন চক্রান্ত হয়েছিল আমরা প্রতিরোধ করেছি। সিআরবি, পুরাতন রেল স্টেশন ভাঙার চক্রান্ত হয়েছিল। এসব অপকর্মের বিরোধিতা করেছিলাম বলে, তা যৌক্তিক ছিল বলে রক্ষা পেয়েছে। আজও আমরা চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিক হিসেবে এ ভবন রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।  

তিনি আশঙ্কা করেন, জাল দলিল দিয়ে ঐতিহাসিক ভবনটি ভাঙার অপচেষ্টা করা হয়েছে। যারা ভাঙতে এসেছে তারা আরজি, রায় দেখাচ্ছে না। গোপনে ফলস প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ফলস ডকুমেন্ট দেখানোর মাধ্যমে এ আদেশ এনেছে যা ইলিগ্যাল। প্রয়োজনে আদালত ভবন রক্ষার মতো বিপ্লবীদের স্মৃতি রক্ষায় জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনি উদ্যোগ নিতে পিছপা হবো না।

>> ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিরক্ষায় বুলডোজারের সামনে রানা দাশগুপ্ত 

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।