চট্টগ্রাম: প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে সরকারি পর্যায়ে আমদানি করা চালের প্রথম চালান নিয়ে ‘এমভি সেঁজুতি’ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি ৪ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে চাল আমদানি হয়েছিল সরকারি পর্যায়ে।
জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট সী গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহির উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জোয়ারের সময় জাহাজটি জেটির কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে। ভাটার সময় জাহাজটি ঘুরিয়ে জেটিতে বাঁধা হবে। এরপর খালাস কার্যক্রম শুরু হবে।
চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের চাল সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের দফতরের প্রধান আবু নঈম মোহাম্মদ সফিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, প্রথম ধাপে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। এর মধ্যে যত চাল আমদানি হবে তার ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হবে, বাকি ৪০ শতাংশ মোংলা বন্দরে খালাস হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর খালাসের পর চাল ট্রাকযোগে সরাসরি দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম জেলার খাদ্য গুদামগুলোতে ২ থেকে আড়াই লাখ টন চাল রাখার সুযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল বাংলানিউজকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা ফুল সিদ্ধ ‘নন বাসমতি’ চালের ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছি আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
এআর/টিসি