চট্টগ্রাম: আমৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নারী শিক্ষার প্রসার, মানবসেবা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়ানো মানুষটির শেষ বিদায়েও সম্প্রীতির অনন্য নজির সৃষ্টি হলো। শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহের ছেলে সাবেক লায়ন গভর্নর, শ্রী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহের মরদেহ শ্মশানে নেওয়ার সময় কাঁধে তুলে নেন গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা।
মৃত্যুর আগে বৈশ্বিক মহামারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে গাউসিয়া কমিটির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীরা ছুটে যান ক্লিনিকে। কমিটির করোনা রোগী দাফন কাজের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার ও আহসান হাবিব চৌধুরী হাসানের নেতৃত্বে তারা মরদেহটি সযত্নে রাউজান উপজেলার কুণ্ডেশ্বরী ভবনে নিয়ে যান।
মরদেহের গোসল, গার্ড অব অনারের মঞ্চস্থল ও শ্মশানে নেওয়াসহ যাবতীয় কাজে সহযোগিতা দেন গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা।
কুণ্ডেশ্বরী ভবনে মরদেহ আনা হলে শোকের ছায়া নেমে আসে। শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমান প্রিয় মানুষটিকে দূর থেকে একনজর দেখতে।
অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, রাত ৯টার দিকে লায়ন্স ক্লাব চিটাগাংয়ের আবু নাসের রনির মাধ্যমে খবর পেয়ে আমাদের টিম সকাল ৭টায় ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সসহ যায়। এরপর থেকে যাবতীয় সহযোগিতা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি জানান, প্রফুল্ল সিংহসহ এ পর্যন্ত গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবক টিম ২২ জন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের শেষবিদায়ে সাথি হয়েছে।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের মানবিক টিম বায়েজিদের সাইফুল করিম বাপ্পা, আফজাল, রাসেল, সজীব ও তাহের এবং রাউজান স্বেচ্ছাসেবক টিমের তাওহীদুল ইসলাম জব্বার, রাশেদুল আলম, মাকসুদুল আলম সুমন এ কর্মযজ্ঞে অংশ নেন। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫১৯টি মরদেহ দাফন করেছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ।
>> শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহের ছেলে প্রফুল্ল আর নেই
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এআর/টিসি