ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করলেন সুজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করলেন সুজন খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করেন চসিক প্রশাসক সুজন।

চট্টগ্রাম: নগরের পূর্ব বাকলিয়া যাওয়ার পথে চার দিন আগে খালভর্তি কচুরিপানা দেখে পরিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।  সেই ঘোষণার বাস্তব রূপ দিলেন শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর)।

চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সেবকদের নিয়ে দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ময়লা আবর্জনা, কচুরিপানা পরিষ্কারে নেমে পড়েন তিনি। এ সময় স্থনীয় বাসিন্দা মো. মুছা সওদাগর, কফিল উদ্দীন, সফিউল আজম বাহার, চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান আহমেদ ইমু, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসক বাকের আলী বলির বাড়ির সামনে থেকে খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেন।  

সুজন বলেন, খাল-নালা হলো পানি চলাচলের পথ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, নগরবাসীর একটি অংশ অসচেতনভাবে খালে-নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে। পূর্ব বাকলিয়া বির্জাখালেও দেখা গেল গৃহস্থালি বর্জ্য, পচা পেঁয়াজ, ছেঁড়া টেবিল ক্লথ, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এ খাল এখন কচুরিপানা, ময়লা আবর্জনা ও মশার প্রজনন আখড়ায় পরিণত হয়েছ।  

একদিকে করোনা মাহামারির সংক্রমণ বেড়েছে। অপরদিকে যদি মশার উৎপাতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনাদের চারপাশ, বাড়ির আঙিনা, পুকুর জলাশয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। খাল-নালা ডাস্টবিন নয়। এখানে গৃহস্থালি বর্জ্যসহ কোনো ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। যদি ফেলেন তাতে আপনাদের পরিবেশের ক্ষতি ও রোগ বালাইয়ে আপনাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।  

তিনি বলেন, এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, কাজেই প্রয়োজনীয় কাজে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। নিজে সুরক্ষা নিয়ে চলাচল না করলে এতে পরিবার ও প্রতিবেশীরাও আক্রান্ত হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। প্রশাসক বলেন, আমরা এর আগে ইছহাকের পুলের পাশে খাল পরিষ্কার করেছি। আজ এই বির্জা খাল পরিষ্কার শুরু করলাম। এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে। এরপর যদি কোনো ময়লা আবর্জনা খাল-নালায় ফেলা হয় তাহলে আশপাশের বাসিন্দাদের জরিমানা করা হবে। আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রশাসক হেঁটে আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন এবং গরিব ও অসচ্ছল মানুষের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন। পরে করোনা থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষায় তিনি বিশেষ মোনাজাতও করেন।

পূর্ব বাকলিয়া থেকে ফেরার পথে চসিকের উদ্যোগে চলমান বাকলিয়া রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়নকাজ পরির্দশন করেন প্রশাসক সুজন। এ ব্রিজ নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণে প্রায় ৮ কোটি টাকা থরচ হবে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।