চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (কেজিডিসিএল) ৫৭ জন কর্মকর্তাকে মধ্যরাতে পদোন্নতির বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কয়েকদিনের মধ্যে সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালকের কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করবেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুদকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান, মধ্যরাতে পদোন্নতির বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে দুদক তিনটি অনিয়ম পেয়েছে। তাহলো- ৫৭ জন কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে দুদকের ক্লিয়ারেন্স না থাকা, নিয়োগের নথি না থাকা ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমতি না নেওয়া।
দুদক সূত্র জানায়, কেজিডিসিএলের সাবেক কর্মকর্তা আইয়ুব খানের ছেলে মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০১১ সালে অনার্স পাস না করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৭ সালে উপ-ব্যবস্থাপক হন।
২০২০ সালের ২০ আগস্ট ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতিও পান তিনি। অথচ মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ওই ব্যাচের পদোন্নতি পাওয়া অনেকেরই কোনো নথিপত্র ছিল না কেজিডিসিএলে।
আইয়ুব খানের আরেক ছেলে আশেক উল্লাহ চৌধুরী ২০১৬ সালে উপ-ব্যবস্থাপক পদে কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এ বিষয়ক সরকারি নথিপত্রগুলো দুদকের কাছে জব্দ রয়েছে।
গত ২০ আগস্ট মধ্যরাতে কেজিডিসিএলের ৫৭ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে তখন বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনা তদন্তে কেজিডিসিএল’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
পরে ২৯ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ থেকে চিঠি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ নথি চাওয়া হয়। পরে ২৪ নভেম্বর পদোন্নতির সময় মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) প্রকৌশলী মো. সারোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক সুলতান আহমেদকে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
পরেরদিন ২৫ নভেম্বর একইভাবে কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ডিভিশন) মো. ফিরোজ খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. লুৎফুল করিম চৌধুরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
জেইউ/এমআর/টিসি
