চট্টগ্রাম: কয়েক বছর ধরে সবজি চাষের জন্য বেশ পরিচিতি লাভ করেছে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে জেগে ওঠা শঙ্খচর। শীত মৌসুমে সবজি বিপ্লব হয়েছে এখানে।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এখন কিছু কিছু সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। পুরোপুরি সবজি আসা শুরু হলে চট্টগ্রামে সবজির দাম কমে যাবে বলে আশা কৃষি কর্মকর্তাদের।
ইতোমধ্যে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, লাউ, শসা, তিতকরলা, ধনেপাতা, ঝিঙা, চিচিংগা, ঢেঁড়শ, বরবটি বাজারে আসতে শুরু করেছে। মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে শঙ্খচরে।
চন্দনাইশের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমদ আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, গত ২২ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে সবজির কিছু ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় চাষকৃত সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এখনো শীতের সবজি বাজারে তুলতে পারেননি কৃষকরা। তবে কয়েকদিন পর সবজি পুরোপুরি বাজারে তুলতে পারবেন তারা।
সাতকানিয়ার কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টিতে কিছু সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। অনেকে দ্বিতীয়বার সবজি চাষ করেছেন। এসব সবজি বাজারে তুলতে আরো ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। এখন যেসব সবজি বাজারে আসছে সেসব সবজির দামও একটু বেশি।
ক্ষেত থেকে প্রতিকেজি ফুলকপি ৪০ টাকা করে বিক্রি করছেন কৃষকরা। এছাড়া শিম, বরবটি, টমেটোর দামও বেশি। প্রতি কেজি দেশি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকার মধ্যে।
চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রতাপ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। শীত মৌসুমে আরও ৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। সবজির মধ্যে মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরাও চাহিদামতো দাম পাচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে।
চন্দনাইশের দোহাজারী লালুটিয়ার চর, চাগাচর, দিয়াকুলসহ শঙ্খনদীর চরে কৃষক সারা বছরই কম বেশি মুলার চাষ করে থাকেন। এখানকার কিছু কৃষক বেশি লাভের আশায় বর্ষাকালেও মুলাচাষ করেন।
দোহাজারী রেলওয়ে বাজারে প্রতিদিন সকালে সবজি চাষীরা শীতকালীন সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। এসব সবজি পাইকারী ও খুচরা বাজারে ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা পাইকারী ব্যবসায়ীরা শীতকালীন সবজি কিনে পিক-আপে করে নগরের নিয়ে অধিকমূল্যে বিক্রি করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
জেইউ/এসি/টিসি