ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রকল্পে চট্টগ্রামবাসীর কর্মসংস্থান চান নওফেল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২০
চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রকল্পে চট্টগ্রামবাসীর কর্মসংস্থান চান নওফেল বক্তব্য দেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: উজ্জ্বল ধর।

চট্টগ্রাম: বৃহত্তর চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন করা সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে চট্টগ্রামবাসীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বলেছেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামে যে উন্নয়ন কাজগুলো হচ্ছে- আমরা এখানে স্থানীয় জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।

আমরা সরকারের কাছে আবেদন রাখতে চাই, স্থানীয় মানুষের জন্য যাতে এখানে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নগরের চান্দগাঁও এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নওফেল।

নওফেল বলেন, চট্টগ্রামে বিশাল ইউনির্ভাসিটি হচ্ছে ১২শ’ কোটি টাকায়। এখানে ১২টি পরিবারের সন্তানকে যদি কাজ দিতে না পারি, তাহলে এই উন্নয়নের ভাগিদার, উন্নয়নের সুবিধাভোগী এখানকার মানুষেরা হবে না।  

অনেক জায়গায় আমরা দেখেছি, চট্টগ্রাম বন্দরের আশপাশে দেখেছি, যাদের জায়গা জমি নিয়ে এই বিশাল স্থাপনা, অবকাঠামো হয়- তাদেরকে সুবিধাভোগীদের মধ্যে আমরা পাই না। সেটা নিশ্চিত করতে চাই।

নওফেল বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষদের এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়। কারণ শেখ হাসিনা এখানে সবকিছু ঢেলে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া শুধু মন্ত্রী দিয়েছেন, কিন্তু শেখ হাসিনা এখানে বিনিয়োগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই চট্টগ্রাম অঞ্চলে আমরা খাতুনগঞ্জের বাণিজ্যের কথা শুনেছি। কিন্তু শুধু খাতুনগঞ্জে বসে বাণিজ্য করলে বাণিজ্য আগাবে না। আজকে যে স্থবিরতা, এই অঞ্চলের মধ্যে- এটার কারণ সনাতন চিন্তা। প্রযুক্তির ব্যবহার না করে ব্যবসা করা।

শুধু এলসি আনবো, এলসি করে এনে দুটো মার্জিন (কমিশন) খেয়ে ব্যবসা করবো- এটার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সনাতন পদ্ধতিকে ফেলে প্রযুক্তির শিক্ষা নিতে হবে। তাহলে একটা সম্ভাবনা আছে এগিয়ে যাওয়ার।  

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নওফেল বলেন, ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নেওয়ার পরে যদি মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক বা ট্রেড এর ওপর প্রশিক্ষণ নেন, ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নেন, তাহলে আপনি ৫ জন ছেলেকে এই সেবাটা দিতে পারবেন। আয়ের একটা উৎস সৃষ্টি করতে পারবেন।  

কিন্তু গ্রাজুয়েট হওয়ার পর আপনি যদি মনে করেন, আমি কেনো মেস্ত্রির পেছনে ঘুরবো, কিসের জন্য আমি নিজ থেকে এটা করতে যাবো, আমি তো ইউনিভার্সিটির সনদধারী- তাহলে হবে না। চাকরি দিতে হবে, বেতন দিতে হবে, এটা নিয়ে থাকবেন, এটার পেছন পেছন ঘুরবেন- তাহলে আপনার জীবনও নষ্ট হবে, আপনার পরিবারের স্বপ্নও ভাঙবে। তাই মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।  

তিনি বলেন, সনদ নেওয়ার পরে চাকরি করার এবং পাওয়ার যে মানসিকতা এবং চাকরি পাওয়া যে আমরা অধিকার মনে করি- বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে সেটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনীতিতেও এই ধরনের লাখ লাখ দাফতরিক চাকরি দেয়া যাবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও দিতে পারে না।  

এই লাখ লাখ গ্রাজুয়েটদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। জেন্টালম্যান মানসিকতা পরিবর্তন করে শেখ হাসিনার সরকার যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। সেখানে আমাদের ঢুকে পড়তে হবে। নিজেদের উন্নত করতে হবে।  

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান।

আরও খবর>>
** 
শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন পলক
** বাংলাদেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান হতে দেবো না: নওফেল

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।