চট্টগ্রাম: দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছে চট্টগ্রামের শুঁটকির খ্যাতি। কর্ণফুলী ছাড়াও বিভিন্ন নদী ও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী চট্টগ্রামের শুঁটকির রয়েছে সুনাম।
কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠেছে দেশের অন্যতম শুঁটকিপল্লি। নদীর উত্তর-দক্ষিণ তীরঘেঁষা বাকলিয়া, ইছানগর, ডাঙ্গারচর, কর্ণফুলী ঘাট ও জুলধায় মাছকে শুঁটকিতে রূপান্তরের কাছে নিয়োজিত আছেন এলাকার কর্মজীবীরা।
বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া, কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকার গভীর সমুদ্র থেকে জেলেদের সংগ্রহ করা মাছ কর্ণফুলীর তীরে আনা হয়। সস্তা শ্রমিক ও নৌপথে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণেই দিন দিন প্রসার ঘটছে শুঁটকি পল্লিটির। চলে জমজমাট বেচাকেনাও।
কাঁচা মাছগুলো সারি সারি মাচানে তুলে রোদে শুকানো হয়। এখানে অনেক জাতের শুঁটকি তৈরি করা হয়। এখানকার লইট্যা শুঁটকির চাহিদা দেশজুড়ে।
এছাড়া ছুরি, ফাইশ্যা, হাঙর, বাইল্যা, পোপা, চাঁদা বাইল্যা, টিক্কা, ফ্লাইং, কোরাল ফিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মাছের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বাজারে। শুঁটকির মধ্যে সবচেয়ে দামি লাক্ষা ও রূপচাঁদা।
শুঁটকি পল্লি ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের শুঁটকি শুকাচ্ছেন শ্রমিকরা। প্রতিদিনই শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করার কাজ চলে। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারও মানুষের।
১৯৮০ সালের দিকে শুধুমাত্র বাংলাদেশে শুঁটকি তৈরি হতো। এখন উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশেও শুঁটকি তৈরি হচ্ছে। দেশিয় শুঁটকি দুবাই, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশে রফতানি হয়। শুষ্ক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি শুঁটকি তৈরি হয়। চট্টগ্রামে শুঁটকির ৪০টি আড়ত আছে। আছদগঞ্জ থেকে সারাদেশের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা শুঁটকি নিয়ে যায়।
শুঁটকি আমদানিকারক মাহবুব রানা বলেন, দেশে শুঁটকির চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন বাড়ছে না। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে শুঁটকি আমদানি হচ্ছে। চিংড়ি, আইড়, পোয়া, গুলশা, বাইন, নলা, পাত্রা, ফাইস্যাসহ প্রায় সব ধরনের শুঁটকি আমদানি হয়। আমদানিকৃত শুঁটকি কোল্ডস্টোরে রাখতে হয়। এতে পোকার আক্রমণ কম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা,নভেম্বর ২৭, ২০২০
এসএস/এসি/টিসি