ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সড়ক দখলের কারণে যানজটসহ নাগরিক ভোগান্তি হলে ছাড় নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
সড়ক দখলের কারণে যানজটসহ নাগরিক ভোগান্তি হলে ছাড় নেই পিসি রোডে কার্পেটিং কাজের উদ্বোধন করেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

চট্টগ্রাম: সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজটসহ কোনো ধরনের নাগরিক ভোগান্তি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) চুল পরিমাণও ছাড় দেবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন সংস্থাটির প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সাগরিকা মোড় থেকে কলকা মোড় (মাজার অংশ) পর্যন্ত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) রোডের কার্পেটিং কাজের উদ্বোধনকালে প্রশাসক এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে আমরা সড়ক বানাই। পরে দেখা যায় নতুন এসব সড়ক ট্রাক, লরি, ট্রেইলারের পার্কিংয়ের মাধ্যমে দখলে চলে গেছে।

আর এ জন্য নগরবাসীর সমালোচনা ও তোপের মুখে থাকে চসিক। তাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা সড়কের ওপর অবৈধ পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন। চসিকও আপনাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে।  

জাইকার অর্থায়নে পিসি রোডের উন্নয়নকাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্সের অধীনে চলমান এই কার্পেটিংয়ের কাজ শেষের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।  
এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

সুজন বলেন, চট্টগ্রামের লাইফলাইন খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোড কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হওয়ায় আমি খুশি। তিন বছর ধরে সড়কটির কারণে নগরবাসী বিশেষ করে এ এলাকার অধিবাসীদের নিদারুণ কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।  

তিনি বলেন, পিসি রোডের মোট ৬ কিলোমিটারের মধ্যে এখন সাগরিকা থেকে কলকা মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হচ্ছে। বাকি ৪ কিলোমিটার কলকা থেকে তাসফিয়া পর্যন্ত অংশেও কার্পেটিং করা হবে। কলকা মোড়ে একই প্রকল্পের অধীনে কালভার্টও নির্মিত হচ্ছে।  

প্রশাসক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো পিসি রোডের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।  

নির্মাণকাজ চলাচলে ধুলোবালি থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রতিদিন ১ ঘণ্টা অন্তর প্রকল্প এলাকায় পানি ছিটাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও চসিকের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন খোরশেদ আলম সুজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪  ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।