চট্টগ্রাম: বইছে শীতের হাওয়া। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা সচেতনমহলে।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) নগরের তিনপুলের মাথা থেকে শুরু করে রিয়াজউদ্দিন বাজারের দিনমজুর-শ্রমিক, ডিসি হিল-সিআরবির ভবঘুরে, জামালখান এলাকার রিকশা-ভ্যানচালক, বস্তিবাসী ও ছিন্নমূল লোকজনের মুখে মাস্ক পরিয়ে দেন একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী।
শুধু মাস্ক বিতরণ নয়, একই সঙ্গে হ্যান্ডমাইকে ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নাকে মুখে হাত না দেওয়া, ভিড় এড়িয়ে চলা, করমর্দন ও কোলাকুলি না করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়। যারা মাস্ক পরেননি তাদের বুঝিয়ে বলা হয়-নিজে বাঁচতে হলে, স্বজনদের সন্তানদের বাঁচাতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এ কর্মসূচিতে অংশ নেন চিটাগং কালেক্টরস ক্লাবের সভাপতি প্রবাল দে, বাংলাদেশ ম্যাচবক্স কালেক্টরস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট সাকিল হক ও জেনারেল সেক্রেটারি রাসেল রহমান শিমুল প্রমুখ।
প্রবাল দে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি পথে ঘাটে, গণপরিবহনে, বাজারে অনেকের মুখে মাস্ক নেই। কিছু অভাবী, নিরক্ষর মানুষ হয়তো মাস্ক কেনার ব্যাপারে উদাসীন থাকতে পারেন কিন্তু অনেক ভদ্রলোক, তরুণও মাস্ক পরছেন না। যা দুঃখজনক। এ অবস্থায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার আগে বিএমসিসি ও ফিলাটেলিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আশাকরি, সরকারের নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনও মাস্ক পরা ও করোনা সচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২০
এআর/টিসি