ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাহফিলের প্রচারে বিচারকের নাম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
মাহফিলের প্রচারে বিচারকের নাম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

চট্টগ্রাম: ধর্মীয় মাহফিলের পোস্টারে একজন বিচারকের অনুমতি না নিয়ে তার নাম ও ভুল পদবী ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রচারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে মামলায় সুনির্দিষ্ট করে কাউকে আসামি করা হয়নি।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বাঁশখালী থানায় বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর সাঁটলিপিকার মো. বদরুদ্দোজা।  

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ১ নং পুকুরিয়া ইউনিয়ন বাঁশখালী, চট্টগ্রাম নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে মাহফিলের পোস্টার প্রচার করা হয়।

পোস্টারে একজন বিচারক মহোদয়ের অনুমতি না নিয়ে তার নাম ও ভুল পদবী ব্যবহার করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে মামলায় সুনির্দিষ্ট করে কাউকে আসামি করা হয়নি।  

মামলার বাদি মো. বদরুদ্দোজা এজাহারে উল্লেখ করেন, বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হেফাজতে ইসলামের আমীর প্রয়াত শাহ আহমদ শফী ও প্রয়াত পীরে কামেল শাহ মোহাম্মদ তৈয়ব স্মরণে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ‘দোয়া ও ইসলাহি মাহফিলের’ ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার ছাপিয়ে তা পুকুরিয়া ইসলাম প্রচার সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ফেসবুক পেইজে আপলোড করে শেয়ার করা হয়। একই সঙ্গে তা লিফলেট আকারে বিলি করা হয়। পোস্টারে একজন জেলা ও দায়রা জজ মহোদয় এর পদ ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে বিশেষ অতিথির কলামে ‘মাহাবুবুর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ, বান্দরবান’ উল্লেখ করা হয়েছে।  

‘বান্দরবান জেলায় মাহাবুবুর রহমান নামে কোনো জেলা ও দায়রা জজ নেই। বান্দরবান জেলায় কর্মরত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক জীবনযাপন করেন। তিনি কোনো দল-মতের সঙ্গে যুক্ত নন। এরপরও তার সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বিনা অনুমতিতে ভুল পদবি দিয়ে নাম লিখে প্রচারণা চালানোর কারণে এই বিচারক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন, যা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের সামিল। ’ উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।