চট্টগ্রাম: হৃদরোগীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়া ঝুঁকি বেশি। তাই সবাইকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ‘বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২০’উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হৃদরোগ মৃত্যুর এক নম্বর কারণ। করোনা ভাইরাসে হৃদরোগীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। আবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের কোভিডে মৃত্যুর আশঙ্কাও বেশি থাকে। এক্ষেত্রে হৃদরোগ ও কোভিড মোকাবেলা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। হৃদরোগ ও কোভিড মোকাবেলায় মানুষের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। ’
হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার দাশ বলেন, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে সেবায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে। প্রথমদিকে কোভিডের ভয়ে হৃদরোগ ওয়ার্ডে ভর্তির পরিমাণ কমে গিয়েছিল। তবে এখন রোগীদের সেই ভীতি অনেকাংশে কমে গেছে। হৃদরোগ বিভাগের সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকদের কোভিড ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়ায় হৃদরোগ ওয়ার্ডের বিশেষায়িত সেবা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
‘হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ মোকাবেলা’এই প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ‘বিশ্ব হার্ট দিবসের আলোচনা সভায় হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার দাশের সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. আনিসুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চমেক হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম, হৃদরোগ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. একেএম মনজুর মোর্শেদ, রক্তরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. গোলাম রাব্বানী, নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী, সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল করিম এবং ইউএসটিসি হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এমএম/এসকে/টিসি