ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তথ্য পাওয়া সবার সাংবিধানিক অধিকার: বিভাগীয় কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
তথ্য পাওয়া সবার সাংবিধানিক অধিকার: বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রাম: বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেছেন, তথ্য পাওয়া সব নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে  সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ অনেক প্রেক্ষাপট জড়িত।

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশে ক্রান্তিকাল চলমান থাকলেও প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।  

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আর্ন্তজাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে জুম অ্যাপের মাধ্যমে আয়োজিত ভার্চুয়াল সিম্পোজিয়ামে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

সরকারের তথ্য কমিশন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন এই সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘তথ্য অধিকার-সংকটে হাতিয়ার, সংকটকালে তথ্য পেলে জনগণের মুক্তি মেলে। ’ 

এবিএম আজাদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তথ্য অধিকার আইন প্রণীত হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণে এই আইন করা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়নের পথ সুগম হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশে ক্রান্তিকাল চলমান রয়েছে। সংকটকালেও জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা গেলে দুর্নীতি হ্রাসসহ দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।  

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে কমিটি করে দেয়া হয়েছে। আগামীতে ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি করা হবে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনগণের চাহিদামত তথ্য আদান-প্রদান করছে কি না তা কমিটির প্রধানগণকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। তাহলে এ আইন আরো বেশি কার্যকর হবে।  

তিনি বলেন, জনগণের চাহিদামত তথ্য প্রদানে গড়িমসি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। আবার যেসব তথ্য প্রদান করলে রাষ্ট্র বা সরকারের জন্য ক্ষতিকর বা হুমকি হবে সে সব তথ্য দেয়া যাবে না। জনগণকে কোন কোন তথ্য দেয়া যাবে না বা কেনো দেয়া যাবে না তা কারণসহ জানিয়ে দেবেন ঐ কর্মকর্তা।

বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে গনমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিছু কিছু ব্যক্তি ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।   

ভার্চুয়াল সিম্পোজিয়ামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও সরকারের যুগ্ম সচিব মো. জাফর আলম।  

জুম অ্যাপের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর সেকান্দর হায়াত খান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. শাব্বির ইকবাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী ও সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিইউ) উপ-পুলিশ কমিশনার হামিদুল আলম।  

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান, বিভাগের বিভিন্ন জেলার ডিসি, এডিসি, ইউএনও, সিভিল সার্জন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের নেতারা ভার্চুয়াল সিম্পোজিয়ামে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।