চট্টগ্রাম: আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের এনসিটি, সিসিটি, জিসিবিসহ জেটি ও ইয়ার্ডের শতভাগ ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায় আসছে। ইতিমধ্যে নতুন-পুরনো মিলে বসানো হয়েছে ৫১৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা।
বন্দরের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল শিপ অ্যান্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটি (আইএসপিএস) কমপ্লায়েন্সের জন্য বন্দরের শতভাগ এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা বাধ্যতামূলক।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেট সংলগ্ন নিরাপত্তা বিভাগের দফতর সংলগ্ন এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে ‘চিটাগাং পোর্ট সিসিটিভি কমান্ড অ্যান্ড কনট্রোল সেন্টার’। উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ।
বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল আহমেদ জুনাইদ আলম খান বাংলানিউজকে জানান, ৫১৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা ফাংশনাল রয়েছে। আরও তিন শতাধিক ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর এম শফিউল বারী বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে তারই একটি হলো ‘চিটাগাং পোর্ট সিসিটিভি কমান্ড অ্যান্ড কনট্রোল সেন্টার। এখান থেকে পুরো বন্দরের সব সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিং করা হবে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সিসিটিভির সহায়তায় আমরা বেশ কয়েকটি চুরির অপচেষ্টা ধরতে পেরেছি। আইএসপিএস কমপ্লায়েন্সের জন্যও আমাদের পুরো বন্দরকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও তিন শতাধিক ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে আশাকরি। তখন বন্দরের শতভাগ এলাকা সিসিটিভির আওতায় চলে আসবে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ডিজিটালাইজেশনে সব সময় আন্তরিক। ইতিমধ্যে বন্দর চ্যানেলে দেশি-বিদেশি জাহাজ নিরাপদে আনা-নেওয়ার জন্য শক্তিশালী ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত ভিটিএমআইএস সিস্টেম, কনটেইনার টার্মিনাল ও ইয়ার্ডের জন্য সিটিএমএস সিস্টেম চালু করেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছিল, সম্প্রতি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
এআর/টিসি