ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাঁশের সাঁকোই ভরসা দুই গ্রামের মানুষের

মিনার মিজান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
বাঁশের সাঁকোই ভরসা দুই গ্রামের মানুষের বদরখালী খালের ওপর বাঁশের সাঁকো । ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: দুই গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের।

 

স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত সাঁকোটি প্রতিবছর মেরামত করেন নিজেরাই। তবে এর একটি স্থায়ী সমাধান চান এলাকার বাসিন্দারা।

সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন সৈয়দপুর ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ বগাচতর গ্রামের মধ্যখানে অবস্থিত বদরখালী খাল। খালটির ওপর স্থায়ী কোনো সেতু না থাকায় নিজেদের নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।

গ্রামবাসীরা জানান, এক-দুই দিনের নয়, বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই গ্রামের মানুষকে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকবার দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। বর্ষায় এ দুর্ভোগ পৌঁছায় আরও চরমে। সাঁকো মেরামতে সরকারি কোনো অনুদানও পাওয়া যায় না।  

প্রতিবছর দুই পারের বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। চাঁদা তুলে কেনেন বাঁশ-খুটি। জনপ্রতিনিধিরা দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও পরে আর তা বাস্তবায়ন হয় না বলে অভিযোগ তাদের। তাই অবিলম্বে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মহানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, ‘গত বর্ষায় যাতায়াতের জন্য গ্রামের লোকজন নিজ খরচে বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করেন। একটি সাঁকো এক বর্ষা পার করার পর আর ব্যবহার করা যায় না। স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে আমরা বেশ কয়েকবার ধরনা দিলেও শুধু পেয়েছি আশ্বাস।  

স্থানীয় কমিনিউটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী নাজমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাঁকোটি ভাঙা থাকায় পারাপারে সবসময় ভয়ে থাকি। বিশেষ করে বর্ষাকালে বিশালাকৃতির এই সাঁকো পার হতে কষ্ট হয়। কাদা-পানিতে একাকার হয় খালের পার। প্রায় সময় পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। কিছুদিন আগেও সম্পূর্ণ ভাঙা ছিল সাঁকোটি। এলাকার কয়েকজন যুবক সংস্কার করে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করেছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা  জানিয়েছেন- বদরখালী খালের ওপর অবস্থিত বাঁশের সাঁকোটি প্রায় ৮০ ফুট লম্বা। সাধারণত ৫০ ফুটের বেশি লম্বা সেতু তৈরি করতে পারেন না তারা। এরপরও ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। বাজেট পাওয়া গেলেই সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।