ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে ব্যবসা সম্প্রসারণে যাচ্ছে লুব-রেফ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে ব্যবসা সম্প্রসারণে যাচ্ছে লুব-রেফ

চট্টগ্রাম: লুব্রিকেন্টস শিল্পে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করে বিদেশে রফতানির লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে চায় লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরের সাগরিকায় লুব-রেফ কারখানায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান।

প্রকল্পের পুঁজি সংগ্রহের লক্ষ্যে পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিডিংয়ের অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংগৃহীত টাকা নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংকঋণ শোধ ও আইপিও খরচ খাতে খরচ করা হবে।

তিনি বলেন, পেট্রোলিয়াম সেক্টরে উদ্ভাবনী কার্যক্রম নিয়ে চার দশক ধরে কাজ করছি আমরা। ২৬টি লাইসেন্স নিতে হয়েছে কারখানা শুরুর আগে। এক বছরের আগে একেকটি লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। শিল্প স্থাপনের আবেদনের ৭ বছর পর অনুমোদন পাই। আমি আশা করি, বেসরকারি লুব্রিকেন্ট খাত অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমরা নিজস্ব ব্রান্ডের পণ্য উৎপাদন করছি বিশ্বমানের।  

‘ইতিমধ্যে 'বিএনও' ব্রান্ডের পণ্য বাজারজাতকারী কোম্পানিটি ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে বেইজ অয়েল রিফাইনারি প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে লুব্রিকেন্টস বাজারের ২০ শতাংশ দখল করতে চায় তারা। ’

কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে ৩০ একর জমিতে দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল থিম পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ ইউসুফ।  

তিনি বলেন, দেশে মেরিন ট্রান্সপোর্টেশন পপুলার হচ্ছে। নৌপথ নিরাপদ ও সাশ্রয়ী৷ লুব্রিকেন্ট অয়েল না হলে যন্ত্র চলবে না। কস্ট ইফেকটিভ, কোয়ালিটি লুব্রিকেন্টস তৈরি করছি আমরা। করপোরেট স্যোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি আছে আমাদের। ইনোভেশনের মাধ্যমে আমরা দেশকে সাহায্য করছি। এ শিল্পকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছি। আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করেছি। পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী ন্যানো ও নিনাস টেকনোলজি নিয়ে এসেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আবশ্যক ট্রান্সফরমার অয়েল দেশে হতো না, আমরা সেই কাজটি করছি।  

তিনি বলেন, সরকার কাঁচামাল আমদানি সহজতর করেছে। কর্ণফুলী নদীর পাড়ে বিএনও'র নতুন রিফাইনারি হবে। নিজস্ব জাহাজ বার্থিং জেটির অনুমোদন দিয়েছে। আমরা সরকারের সব রাজস্ব যথাসময়ে দিয়ে থাকি। আরও জনবল নিয়োগ দিতে হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। অপ্রচলিত পণ্যের রফতানি বাড়াতে সচেষ্ট আছি আমরা। শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা দরকার। আমাদের সব বিষয়ে স্বচ্ছতা রয়েছে।  

‘সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের একটি কোম্পানির সঙ্গে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ন্যানো টেকনোলজির লুব্রিকেন্টিং অয়েল সামগ্রী উৎপাদন ও বিপণন শুরু করেছে লুব-রেফ। ’ 

লুব-রেফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থে কোম্পানির লুব্রিকেন্ট উৎপাদন সক্ষমতা ও বিক্রি বাড়বে। এর ফলে লুব্রিকেন্ট পণ্যে আমদানি নির্ভরতা কমবে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এবং দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান বাড়বে।

কোম্পানিটির ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (পুনর্মূল্যায়নসঞ্চিতিসহ) ৩১ টাকা ৯৩ পয়সা, শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (সঞ্চিতি ছাড়া) ২৫ টাকা ৯৬ পয়সা। শেয়ার প্রতি আয় ২ টাকা ৮ পয়সা। গত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় ২ টাকা ২৩ পয়সা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।