ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিক আইন সংশোধনের তাগিদ পরামর্শক কমিটির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
চসিক আইন সংশোধনের তাগিদ পরামর্শক কমিটির চসিকে পরামর্শক কমিটির সভা। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: চসিকের আয় বাড়াতে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং সিটি করপোরেশন আইন সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টাইগারপাস চসিক ভবনে আয়োজিত কমিটির সভায় এ পরামর্শ এসেছে বলে জানিয়েছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

খোরশেদ আলম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব বিনিয়োগকারীদের বলেছেন- আপনারা আসেন। প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগের সুবিধার জন্য কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল করছেন।

 চট্টগ্রাম থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইন যাচ্ছে। এটা পরবর্তীতে মায়ানমার হয়ে চায়নায় যুক্ত হবে। তখন দেশের অর্থনীতির বিশাল স্বর্ণদুয়ার খুলে যাবে। বে-টার্মিনাল চালু হলে ভারত, নেপাল, ভুটান, তিব্বত প্রভৃতি দেশ মাল্টিলেবেল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বন্দরকে ব্যবহার করতে পারবে।

তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ শহরে সবচেয়ে সুবিধা ভোগ করছে চট্টগ্রাম বন্দর। একটি টেকসই অর্থনীতির জন্য উৎপাদনশীল বন্দর প্রয়োজন। আর উৎপাদনশীল বন্দরের জন্য একটি সচল শহর দরকার। শহর সচল না থাকলে বন্দর কিভাবে চলবে? কাস্টম থেকে প্রচুর অর্থ নিয়ে যাচ্ছে এনবিআর। সেখান থেকে আমাকে কেন এক শতাংশ লভ্যাংশ দেবে না।

সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ দাশ, নৌবাহিনীর কমোডর (অব.) জোবায়ের আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ ও রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি প্রবীর কুমার সেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস এবং বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এমএ সালাম।

নান্দনিক, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত চট্টগ্রাম নগর গড়তে বিশিষ্টজনদের পরামর্শ গ্রহণ উপলক্ষে ১৭ সদস্যের একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছেন চসিক প্রশাসক।  

সভা শেষে চসিক প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, যারা সিটি করপোরেশনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও ট্যাক্স দেবে না, তারা করপোরেশনের সুবিধা ভোগ করতে পারবে না। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর, বিপিসিসহ সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান শহর ব্যবহার করে আয় করেন তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায়ের বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরামর্শক কমিটি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।  

সমন্বয়হীনতার বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, স্থানীয় সরকার আইনে সিটি করপোরেশনের প্রতিটি সমন্বয় সভায় সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থার অংশগ্রহণের জন্য নির্দেশনা আছে। কিন্তু অনুপস্থিত থাকলে বা সমন্বয় না করলে সংস্থাগুলোর প্রতি সিটি করপোরেশনের করণীয় নির্ধারণে কোন বিধান নেই।  

তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে সমন্বয় সভাগুলোতে সংস্থা প্রধান না এসে একজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়। অথচ সভায় উপস্থিত প্রতিনিধির কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা প্রদানের ক্ষমতা নেই। এতে করে সমন্বয়হীনতা রয়েই যাচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের বিষয়টি নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।