চট্টগ্রাম: বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিতে নগরের কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- চট্টগ্রামে বৃষ্টি আরও কয়েকদিন টানা থাকতে পারে।
চট্টগ্রামের কোথাও কোথায় অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ, দক্ষিণ পশ্চিম দিকে থেকে ঘণ্টায় ১২-১৮ কিলোমিটার বেগের বাতাস ৪৫-৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিৎ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৯৮ দশমিক ০ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নদী বন্দরে ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টিতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। অনেকের নিচ তলার বাসা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভারী বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কায় নগরের সরকারি ও বেসরকারি মালিকানাধীন ১৭টি পাহাড়ের পাদদেশে ‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বসবাস করা লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম জাকারিয়া বাংলানিউজকে জানান, ভারী বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরের ১৭টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। অনেকে কাছের স্বজনদের কাছে চলে গেছেন। কেউ সরে না গিয়ে থাকলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
এমআর/টিসি
