চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ওয়াসায় আগুন লাগার ঘটনাকে রহস্যজনক বলে দাবি করে তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে রিটের শুনানি হয়।
মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তাছাড়া প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনোদিন ওয়াসা ভবনে আগুন লাগেনি। আসলেই এটি দুর্ঘটনা কী না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ভবনের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করাও প্রয়োজন।
এর আগে বিকেলে চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে আগুন লাগার কারণ রহস্যজনক বলে দাবি করে নগরবাসীর পক্ষে সাত জনের নাম উল্লেখ করে গণমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে রিট হওয়ার পর রিটের আদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়াসা অফিসের তৃতীয় তলায় আগুন লাগার ঘটনা রহস্যজনক। সুষ্ঠ তদন্ত বিঘ্ন ঘটানোর জন্য ফিল্মি স্টাইলে পরিকল্পিতভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে। বুধবার রাত ৮টা থেকে মেইন গেইট দিয়ে কারা আসা যাওয়া করেছে সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করলে আসল সত্য উদঘাটন হবে।
বৃহস্পতিবার পাঁচতলা ওয়াসা ভবনের তৃতীয় তলায় ভোর সাড়ে ৪টায় আগুন লাগে। তৃতীয় তলা অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আগুনে কিছু কাগজপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহকে ফোন করা হলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এর আগে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে হাসান আলী নামের এক গ্রাহক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে এমডির অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে আগামী এক মাসের মধ্যে এসব তথ্য জানতে চেয়েছেন আদালত। ২৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
এমএম/এসকে/টিসি