ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১১ দেশ থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আসছে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
১১ দেশ থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আসছে বিভিন্ন দেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ আকার ও স্বাদের পেঁয়াজ আসছে সমুদ্রপথে

চট্টগ্রাম: ১১টি দেশ থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশগুলো হচ্ছে চীন, মিশর, তুরস্ক, মায়ানমার, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইউক্রেন, ভারত ও পাকিস্তান।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ কেন্দ্র থেকে ৪ হাজার ২২৪ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ১৩টি আইপি ইস্যু হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৫ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৩০৫টি আইপি ইস্যু করেছে কেন্দ্রটি।

 

কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলানিউজকে বলেন, একজন আমদানিকারক বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভারত থেকে সমুদ্রপথে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নিয়েছেন। যদিও এটা পরিমাণে খুবই কম।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। ভারতসহ ১১টি দেশ থেকে পেঁয়াজের আইপি ইস্যু করেছি আমরা। আশাকরি, যত দ্রুত সম্ভব সমুদ্রপথে পেঁয়াজ নিয়ে আসবেন আমদানিকারকরা।  

নেদারল্যান্ড, তুরস্ক, মিশরসহ কয়েকটি দেশ থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপ এলসি খুলেছে। সংকট মোকাবিলায় দেশের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন দেশ থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় দেশের অন্যতম বড় শিল্পগ্রুপটি।  

ভোগ্যপণ্যের বড় আমদানিকারক খাতুনগঞ্জের বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, দেশে পেঁয়াজ সংকট শুরুর পর আমদানি অনুমতিপত্র নিয়ে হল্যান্ড ও মিশর থেকে ৫ হাজার টন পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। ইতিমধ্যে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খুলেছি। এর আগেও পেঁয়াজ সংকটের সময় আমরা পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছি।  

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের পর চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে বিকল্প দেশ থেকে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৭৫ টন পেঁয়াজ আনার আইপি নিয়েছেন পাঁচ শতাধিক ছোট বড় ব্যবসায়ী। এসব পেঁয়াজ সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে।   

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ, রসুন, আদার বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে জানান, সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) খাতুনগঞ্জের আড়তে ভারতের ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা। তবে চাহিদা ছিল কম।  

মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়ের মালিক হাজি মিন্টু সওদাগর বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। এখানকার বাজার মূলত ভারতের পেঁয়াজ নির্ভর। সীমান্তের স্থলবন্দর কেন্দ্রিক আমদানিকারক ও বেপারীরা খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন।

তিনি বলেন, সংকট নিরসনে খাতুনগঞ্জের অনেক শিল্পগ্রুপ ও আমদানিকারকরা ভারতের বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই এসব পেঁয়াজ আসার কথা রয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, পেঁয়াজ সংকটকালে বিকল্প দেশ থেকে আমদানির পাশাপাশি দেশে উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। এর জন্য চাষিদের উন্নত বীজ সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা দিতে হবে। আমাদের কৃষিবিদদের মিশর হল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পাঠানো যেতে পারে। সব পেঁয়াজ মাটির নিচে হলেও মিশরে ব্যতিক্রম উপায়ে ডগায় পেঁয়াজ হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।