ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সহ্যসীমা ছাড়ালে কাউকে ক্ষমা করা হবে না: সুজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
সহ্যসীমা ছাড়ালে কাউকে ক্ষমা করা হবে না: সুজন নগরের সড়ক, নালা সরেজমিন পরিদর্শন করেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

চট্টগ্রাম: নগরের বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত, অলিগলি দখল, নালা-খালের ওপর স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা নিয়ে লুকোচুরিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।  

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আমি চাই বাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়ে উঠুক। আমি যা শুরু করেছি বা করছি তা আগামীতে এ দায়িত্বে যারা আসবেন তাদের পথ অনেকখানি সুগম করবে।
আমি দেখছি নির্দেশনা দেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করলেও চোখের আড়াল হওয়ার পরপরই তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। তা শুধু দুঃখজনক নয়, আমাকে ক্ষুব্ধ করে। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে কাউকেই ক্ষমা করা হবে না।  

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্দরকিল্লা, সিরাজুদ্দৌলা সড়ক, চকবাজার, জামালখান ও চেরাগি পাহাড় হয়ে পুনরায় আন্দরকিল্লা পর্যন্ত পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, জনগণ ও যান চলাচলে যেখানে প্রতিবন্ধকতা আছে তা প্রতিহত করাই নগরবাসীর প্রতি আমার দায়বদ্ধতা। প্রথমত আমার অনুরোধ, তার পরে নির্দেশ, তা যদি কেউ অমান্য করে বা নিজের বাহুত্ব প্রকাশ করে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।  

চকবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতা একটি স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে সুজন বলেন, এ জলাবদ্ধতা নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের দীর্ঘদিনের অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতে এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোথাও কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে আগামীতে এর সুফল আপনারাই ভোগ করবেন। আমি একজন মাঠের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে চকবাজার এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতে যে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয় তার যন্ত্রণা হৃদয় দিয়ে সবসময়ই উপলব্ধি করি। তবে চসিকের পাশাপাশি এলাকাবাসীরও কিছু দায়দায়িত্ব রয়েছে, সেবা সংস্থার কাজগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত আমাকে জানালে আমি তা অবশ্যই আমলে আনব। জনদুর্ভোগ লাগবে জনতার ঐক্য গড়ে তোলাই আমার কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।  

তিনি চকবাজার মোড় এলাকায় অলস গাড়ি পার্কিং না করা ও যত্রতত্র ইট-বালুর ব্যবসা না করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থায় ব্যবসা করার জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা দেব। তবে জনগণের অধিকার হরণ করে ফুটপাত দখল নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে প্রশাসক নির্বাচিত করেছেন, আমি চট্টগ্রামের ৬০ লাখ জনগণকে প্রশাসক বানালাম। আপনারা আমার ভূমিকায় নিজ নিজ নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। আপনার অধিকার আপনি আদায় করে নেবেন।  

তিনি চট্টগ্রাম কলেজ, জামাল খান মোড় ও চেরাগি পাহাড় এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রশাসক চলতি পথে সিরাজুদ্দৌলা সড়কে অবৈধ কাঁচাবাজার দেখে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ অবৈধ বাজার না বসানোর অঙ্গীকার করান। এ ছাড়া একই সড়কে জয়নব কলোনির সামনে ফুটপাত দখল করে দু’টি অবৈধ দোকানদারকে ১ সপ্তাহের মধ্যে তাদের অবকাঠামো নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।  
এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, ফারজানা মুক্তাসহ চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।