চট্টগ্রাম: নগরের বিভিন্ন মুদি দোকান ও ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অননুমোদিত খাদ্যপণ্য, মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ ও অননুমোদিত ওষুধ বিক্রি চলছেই।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশে পরিচালিত বাজার তদারকি অভিযানে এমন চিত্র ধরা পড়ে।
এপিবিএন, ৯ এর সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জ এলাকার প্রত্যয় প্লাস স্টোরকে মোড়কজাত পণ্যে নিজে মূল্য দেওয়ায় ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েচে। আবদুস সাত্তার সড়কের তানভীর ফ্যামিলি স্টোরকে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ কোমলপানীয় ও খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রাপ্ত মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য ধ্বংস করা হয়।
মোমিন রোডের মেসার্স ঝাল বিতানকে অননুমোদিত সস সংরক্ষণ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ৫ লিটার সস ধ্বংস করা হয়। মেসার্স হক স্টোরকে তৈরির তারিখ ও মেয়াদবিহীন পণ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ বোতলজাত আচার সেলফে পাওয়ায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে ডবলমুরিং থানার সিডিএ কর্ণফুলী মার্কেটের পাইকারি ও খুচরা পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্য বিক্রেতাদের মূল্য তালিকা ও পণ্য কেনার পাইকারি রশিদ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ সময় নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় খাজা গরিবে নেওয়াজ স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পাহাড়তলী থানার কাঁচা রাস্তার মাথার জিলানি ফার্মেসিকে মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ ও অননুমোদিত ওষুধ রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।
জনস্বার্থে বাজার তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান হাসানুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
এআর/এসকে/টিসি