ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৃষ্টি পড়ছে, সঙ্গে জোয়ারের আতঙ্ক চট্টগ্রামে!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
বৃষ্টি পড়ছে, সঙ্গে জোয়ারের আতঙ্ক চট্টগ্রামে! বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন টেম্পুর যাত্রীরা। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: কয়েকদিন ধরে সাগর উত্তাল। চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস।

থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে নগরে। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ, কোচিং বন্ধ থাকলেও অফিসগামী গণপরিবহন যাত্রী আর নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বৃষ্টিতে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটা পর্যন্ত পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ৪৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে, সেই সঙ্গে অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে, যা অস্থায়ী দমকা হাওয়া আকারে ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার  সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬টায় যা ছিল ১৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার।

তিনি জানান, কর্ণফুলী নদীতে প্রথম ভাটা শুরু হয়েছে ভোর ৩টা ৫৪ মিনিটে, জোয়ার ১০টা ৪০ মিনিটে। দ্বিতীয় ভাটা শুরু হবে বিকেল ৪টা ১৬ মিনিটে, জোয়ার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে।  

বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আসাদগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, হালিশহরের নিম্নাঞ্চলে। পাহাড়ধস আতঙ্ক রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে।  

ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, শুঁটকির বড় মোকাম আসাদগঞ্জ থেকে শুরু করে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, আশপাশের সরকারি কলোনি, আবাসিক এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে জলাবদ্ধতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

খাতুনগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, দখল-দূষণে বেহাল কর্ণফুলী ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা কমে গেছে। জোয়ার এলে কিংবা কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হলে নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। অমাবস্যা, পূর্ণিমায় ভারী বৃষ্টি ও জোয়ার একসঙ্গে হলে হাঁটু পানি হয় সড়কের ওপর। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার আগে এ সংকট থেকে মুক্তি নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।