ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রেলওয়ের ১৭০ একর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রেলওয়ের ১৭০ একর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা সিআরবি

চট্টগ্রাম: রেলের সম্পদ অবৈধ দখলের নামে হরিলুট বন্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দিয়েছে যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) নগরের পাহাড়তলী বিভাগীয় ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তার দফতরে এ স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর ,কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া গঙ্গাসাগর এলাকায় রেলওয়ে স্টেশন এবং রেল লাইনসহ অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের ৪৩৯৬ একর জায়গায় ও কোনো ধরনের লিজ না দেওয়া ১৬৯ দশমিক ৮২ একর জায়গায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।  

চট্টগ্রামে রেলকে ঘিরে মাফিয়া চক্র এসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হরিলুট চালাচ্ছে।

কিছু কিছু জায়গায় রেল লাইনের ওপর বাজার বসানো হয়েছে। এসব কাজে জড়িত রেলের কিছু স্টেশন মাস্টার, ভূ সম্পত্তি বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিভিন্ন সময়ে দেশের গণমাধ্যমে বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করে সংগঠনটি।

সংগঠনটি বলছে, রেললাইনের পাশে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা থেকে বিভিন্ন সময় রেলযাত্রীদের ওপর পাথর নিক্ষেপ, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটছে। রেললাইনের পাশে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা থাকায় অপরাধীরা রেল থেকে নেমে সহজে এসব স্থাপনায় আত্মগোপন করত পারে। শুধু সাধারণ যাত্রী নয় ২০১৭ সালে এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করায় ডিউটিরত অবস্থায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার এসআই সালাউদ্দিন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তারপরও এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নীরব অবস্থান।  

এ বিষয়ে সামসুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সরকার রেলপথে যাত্রী সাধারণকে নিরাপদ নির্বিঘ্ন সেবা দিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিছু ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে সরকারের সব অর্জন ম্লান হচ্ছে। সম্প্রতি যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একটি টিম নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইনের প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গেলে আমরা দেখতে পাই নগরের ষোলশহর, জানআলী হাট, পটিয়া দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন, রেললাইনসহ অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জায়গাগুলো এখনও অবৈধ দখলদারদের হাতে।
এসব স্টেশনের মাস্টারদের ছত্রছায়ায় রেললাইনের ওপর বাজার, রেললাইনের পাশঘেঁষে অবৈধ বস্তি, দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে মাসে লাখ লাখ টাকাও চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম চললেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে উদাসীন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।