ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৬০ লাখ মানুষের সেবকরা আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মানুষ: সুজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪১, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
৬০ লাখ মানুষের সেবকরা আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মানুষ: সুজন বক্তব্য দেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম: নগরের ৬০ লাখ মানুষের সেবা দিতে যারা শ্রম বিক্রি করছেন তারা আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মানুষ। যারা শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় রাত-দিন পরিশ্রম করে এ নগরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখছেন তাদের প্রতি আমার অন্তর নিংড়ানো ভালোবাসা।

তাদের কাজকে আমি স্যালুট জানাই। সিটি করপোরেশনের শ্রমিক কর্মচারীরাই আমার কণ্ঠস্বর এবং অঙ্গ।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আন্দরকিল্লার পুরাতন নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিক শ্রমিক কর্মচারী লীগের মতবিনিময় সভায় প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে একটি বাসযোগ্য ও মানবিক নগরে রূপান্তরের প্রক্রিয়া হাতে নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্রতী হয়েছি, এতে যতটুক সফল হই তা আগামীতে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন তাদের চলার পথ সুগম করবে।  

সাবেক মেযর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সেবকের মর্যাদা দিয়েছেন উল্লেখ করে সুজন বলেন, সেই মর্যাদা আমি ধরে রাখবো। শ্রমিক কর্মচারীরা মূল্যায়িত হলে আমি কৃতার্থ হবো।  

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ডোর-টু-ডোর শ্রমিকদের একটি অংশ কাজ না করেও হাজিরা দিতো-এটাকে আমি অপকর্মই বলবো। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হয় সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজে যারা ইট-বালু-পাথর-সিমেন্ট সরবরাহ করতো তাদের পাওনা পরিশোধ না হওয়ায় তারা নির্মাণ ঠিকাদারদের পণ্য পর্যন্ত দিতে চায় না। তাই করপোরেশনের চলমান উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি।

প্রশাসক চসিক শ্রমিক-কর্মচারীদের উত্থাপিত দাবিগুলো যৌক্তিক বলে অভিহিত করে বলেন, বর্তমানে আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় দাবিগুলো এখনই পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এজন্য একটি সুপারিশ আমি করে যাব। ইতিমধ্যে গত মাসের প্রথম তারিখ শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করেছি। আগামীতেও শ্রমিক-কর্মচারীরা যাতে মাসের প্রথম তারিখ বেতন পায় সে ব্যবস্থা নিয়েছি।

‘যারা অবসরে গেছেন তাদের ক্রমানুসারে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুঃখ আমি হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করি। প্রশাসক করোনাকালে নগরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, চিকিৎসাসেবা এবং ত্রাণ বিতরণে চসিকের জনবল যেভাবে অবদান রেখেছে তারা বিশেষভাবে মূল্যায়িত না হলেও আমি স্বীকার করি এ দুর্যোগকালীন তারা একটি মানবিক দায়িত্ব পালন করেছে। ’

তিনি চসিকের কার্যক্রমে কোনো ধরনের অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না উল্লেখ করে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পবিত্র মক্কা শরিফে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হজ্বব্রত পালনকারীদের নানাভাবে সেবা দিয়েছি। এটা আমার মানবিক ও নৈতিক কর্তব্য ছিল। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি তিনি যেন আমাদের শুদ্ধাচারী জীবন-যাপন করার তৌফিক দেন। তাই আমি চসিক শ্রমিক কর্মচারীদের বলতে চাই আপনারা শুদ্ধাচারী জীবনযাপন করুন এবং পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে আপনাদের যেন কোনো কলঙ্ক স্পর্শ না করে।  

শ্রমিক কর্মচারীদের পক্ষে বক্তব্য দেন চসিক শ্রমিক কর্মচারী লীগ সভাপতি ফরিদ আহমদ, জাহেদুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেমসহ শ্রমিক কর্মচারী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।