চট্টগ্রাম: ২৯ বছর বয়সী সুলায়মান পেশায় গার্মেন্ট শ্রমিক। কিন্তু নিজেকে পরিচয় দিতেন পুলিশ কর্মকর্তা, কখনও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে।
বিয়ের সময় নিতেন যৌতুক। বিয়ের পরে স্ত্রীর ভাই, আত্মীয়-স্বজনকে চাকরি দেওয়ার নামেও হাতিয়ে নিতেন টাকা। আবার স্ত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে নিতেন লোন। এভাবেই চলছিল তার দিনকাল।
কিন্তু প্রতারক সুলায়মান অবশেষে পাহাড়তলী এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার হলো পুলিশের হাতে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) এসএম মোস্তাইন হোসেনের কাছে সুলায়মানের বিরুদ্ধে এক স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগ তদন্তে গিয়ে তার এসব অপকর্ম জানতে পারে পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, সুলায়মানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করতে গিয়ে তার নানা অপকর্মের বিষয়ে জানতে পারি আমরা। সুলায়মান পেশায় গার্মেন্ট শ্রমিক হলেও নিজেকে পরিচয় দিতেন পুলিশ কর্মকর্তা, কখনও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে। এসব পরিচয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অল্পবয়সী মেয়েদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তাদের বিয়ে করতেন তিনি। গত ৯ বছরে বিয়ে করেছেন মোট ৯টি।
তিনি জানান, বিয়ের সময় নিতেন যৌতুক। বিয়ের পরে স্ত্রীর ভাই, আত্মীয় স্বজনকে চাকরি দেওয়ার নামেও হাতিয়ে নিতেন টাকা। আবার স্ত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিতেন। অষ্টম স্ত্রী রাহেলার কাছ থেকে তার ভাই ও বোনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা এবং তার নামে এনজিও থেকে ঋণ তুলে হাতিয়ে নিয়েছেন এক লাখ টাকা। নবম স্ত্রী রহিমার কাছ থেকে যৌতুক নিয়েছেন দুই লাখ টাকা।
প্রতারক সুলায়মানের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় নবম স্ত্রী রহিমার মা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
এসকে/এসি/টিসি