ঢাকা, সোমবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্ধ হওয়ার পথে চট্টগ্রামের ফিল্ড ও আইসোলেশন সেন্টার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১১, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
বন্ধ হওয়ার পথে চট্টগ্রামের ফিল্ড ও আইসোলেশন সেন্টার ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর রোগীদের সেবা দিতে গড়ে ওঠা ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারগুলো একের পর এক বন্ধ হতে চলেছে।  

এরই মধ্যে আর্থিক সংকট ও রোগী শূন্যতায় একটি ফিল্ড হাসপাতাল ও দুটি আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

চালু থাকা অন্যান্য আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতালের অবস্থাও প্রায় একই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ মাসে চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন ও বেসরকারি উদ্যোগে ৭টি ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার গড়ে ওঠে।

এর মধ্যে বন্ধ হয়েছে একটি ফিল্ড হাসপাতাল এবং দুটি আইসোলেশন সেন্টার। এছাড়া এখনও চালু থাকা আরও ৪টি ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার ধুকছে রোগী ও অর্থের অভাবে।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোগী থাকলে যে কোনোভাবে অর্থের যোগান নিশ্চিত করা যেত। তবে রোগীর অপ্রতুলতায় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।  

করোনাকালে প্রথম থেকেই মরদেহ দাফন ও সৎকার কাজের জন্য স্বেচ্ছায় নিয়োজিত ছিল আল মানাহিল ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় আল মানাহিল নার্চার হাসপাতাল।

হাসপাতালটির সিইও মাওলানা ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বর্তমানে ২৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। রোগীর তুলনায় হাসপাতালের ব্যয় বেশি। তাই আমরা হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা কমানোর চিন্তা করছি। হাসপাতালে সাধারণ ওয়ার্ড তৈরি করে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।

করোনা রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে পতেঙ্গায় একটি স্কুলে গড়ে তোলা হয় পতেঙ্গা-ইপিজেড ফিল্ড হাসপাতাল। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হোসেন আহম্মদের উদ্যোগে এ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে বর্তমানে খোলা রয়েছে বহির্বিভাগ।

ডা. হোসেন আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে তেমন রোগী নেই। রোগী না থাকলেও  আনুষঙ্গিক ব্যয় হচ্ছে। যেহেতু রোগী নেই তাই হাসপাতালের ব্যয় কমানোর চিন্তা করছি। ২০ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভা রয়েছে। হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার। নগরের বাকলিয়া তুলাতলীর ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ৭০ শয্যার এই আইসোলেশন সেন্টার চালু করা হয়।

মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টারের সমন্বয়ক ইফতেখার কামাল খান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আইসোলেশন সেন্টারে রোগীর সংখ্যা কম। বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও যতদিন পর্যন্ত রোগী থাকবে, এই আইসোলেশন সেন্টার ততদিন চালু রাখা হবে।  

এর আগে সলিমপুরের চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল, আগ্রাবাদে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা ‘আইসোলেশন সেন্টার’ এবং সর্বশেষ গতকাল ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার, চট্টগ্রাম’ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।