ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চাঁদা না পেয়ে জমি দখল, মামলা নিতে আগ্রহী না থানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
চাঁদা না পেয়ে জমি দখল, মামলা নিতে আগ্রহী না থানা দখল নেওয়া জমি

চট্টগ্রাম: নগরের বায়েজিদ থানাধীন নয়াহাট এলাকায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে রাতারাতি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা রুজু না করে অভিযোগ নিয়ে আসামিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরামর্শ দিয়েছে ভুক্তভোগীকে।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একই কায়দায় চাঁদা না পেয়ে জমি দখলের অভিযোগে বায়েজিদ থানায় মামলাও রয়েছে। পুলিশের নমনীয়তায় বার বার তারা একই কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

অভিযুক্তরা হলেন- মো. ইকবাল হোসেন রবিন (২৮), মো. সোহেল (৩০), মো. মাসুম (৩৫), আনিসুর রহমান সুমন (৪০), আমিন মিন্টু (২৩), মো. জাহেদ (২৬), আরমান (২৫), রহিম (৫৫)।  

তাদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়। এর পর থেকে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো. সাইফুল আলম।

ভুক্তভোগী মো. সাইফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ইকবাল হোসেন রবিন, আনিসুর রহমান সুমনসহ অন্যরা আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চায়। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ১০ আগস্ট রাত ১১টার দিকে জায়গা দখল করে। সেখানে রাতারাতি দেয়ালও তৈরি করে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে গালাগাল করে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে।  

মো. সাইফুল আলম বলেন, আমি বায়েজিদ থানায় মামলা করতে গেলে আমার কাছ থেকে মামলা না নিয়ে অভিযোগ আকারে নেয়। চাঁদাবাজদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরামর্শ দেওয়া হয় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে।  

তিনি বলেন, অভিযুক্তরা এ এলাকায় নিয়মিত নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজি, জমি দখল করে চাঁদা আদায়ের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। পুলিশের সঙ্গে খাতির থাকার কারনে তারা কাউকে পরোয়াও করেনা।  

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তো মামলা হয়না। যদি হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে ভুক্তভোগী জিডি করতে পারেন।  

চাঁদা চাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওসি বলেন, তাহলে বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।  

ওসি প্রিটন সরকার বলেন, শনিবার দুই পক্ষ থানায় বৈঠক বসার কথা রয়েছে।  

এদিকে আমিনুর রহমান সুমন, রবিন ও জাহেদের নামে এক প্রবাসীর নির্মাণাধীন ভবন থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ায় ১৮ জুন একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নম্বর ২১। মাসুম ও রবিনের নামে আরও দুইটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

আমিনুর রহমান সুমন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ও সরোয়ারের সঙ্গে মিলে বায়েজিদ এলাকায় চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আশিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। ভুক্তভোগী সরাসরি আমাদের কাছে এলে আমরা ব্যবস্থা নিব।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।