চট্টগ্রাম: লকডাউন শিখিল হওয়ার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চললেও এখন তা মানা হচ্ছে না। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও (১৩ আগস্ট) বাসে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
দুইজনের সিটে একজন বসানোর নির্দেশনা থাকলেও দুইজনের সিটে দুজনই বসছে। দাঁড়ানো অবস্থায়ও লোক নিচ্ছে বাস চালক-সহকারীরা।
নগরের প্রায় রাস্তায় ফিরলো যানজট। ঠাসা ভিড় নিয়ে শহরে ছুটছে বাস। দোকান-বাজার সর্বত্র জমজমাট সমাগম। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সহকারীরা আগের মতো জোর করে যাত্রী তুলছেন। এ সময় কোনো পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যায়নি। বাসে ওঠার জন্য যাত্রীদের ছিল হুড়োহুড়ি অবস্থা।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এভাবে চলতে পারে না। ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নিয়েও চট্টগ্রামে চালক-সহকারীরা অতিরিক্ত যাত্রী তুলছেন। এতে আবারও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি কোনো বাসে মানা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।
পরিবহন নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে বারবার বলা হলেও বাসের চালক-সহকারীরা কথা শুনছেন না। পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের জোর পদক্ষেপ চাচ্ছেন তারা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস-মালিক সমিতির মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বেলাল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অনেক বলার পরও বাসের চালকরা কথা শুনছেন না। এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দরকার হলে আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবো।
চট্টগ্রামের বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুর এ জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিনই স্বাস্থ্যবিধি মানাতে অভিযান পরিচালনা করছি। আজকেও হাটহাজারীসহ তিন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানেনি তাদের জরিমানাসহ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও কেউ কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করছে। তারপরও আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
জেইউ/এসকে/টিসি