ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম বন্দরে কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক পণ্যের তালিকা হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
চট্টগ্রাম বন্দরে কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক পণ্যের তালিকা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ নম্বর শেডে সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পি শেডে রাখা হয় কেমিক্যাল ও ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য।

চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের ‘পি’ শেডে থাকা বিদেশ থেকে আমদানি করা কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক (হ্যাজারাডাস) পণ্যের তালিকা করছে কর্তৃপক্ষ।

এ লক্ষ্যে রোববার (৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন সদস্যকে (হারবার ও মেরিন) প্রধান করে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

কমিটির সদস্য করা হয়েছে বন্দরের দুইজন পরিচালক (নিরাপত্তা এবং পরিবহন), কাস্টম হাউসের প্রতিনিধি (যুগ্ম কমিশনারের নিচে নয়), পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিনিধি ও কাস্টম হাউসের রাসায়নিক পরীক্ষককে। এর বাইরে প্রয়োজনে অন্য যেকোনো কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে কমিটি।

 

সূত্র জানায়, বন্দরের ১৪টি শেডের মধ্যে বিপজ্জনক পণ্য রাখা হয় ‘পি’ শেডে। এর বাইরে বিভিন্ন ইয়ার্ডে বিপজ্জনক পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী কনটেইনার রাখা হয়। ‘পি’ শেডে ড্রাম, প্যালেট (কাঠের কাঠামোর ওপর) কেমিক্যাল ও হ্যাজারাডাস পণ্য রাখা থাকে। যদিও আধুনিক অবকাঠামো নেই সেখানে। কয়েক যুগ আগে আমদানি করা পণ্যও রয়েছে এ শেডে। নিলাম প্রক্রিয়ায় ধীরগতি, মামলা, উপযোগিতাহীন পণ্য ধ্বংসে জটিলতা, ধীরগতির কারণে এসব পণ্যের স্তূপ জমছে। এতে একদিকে এসব চালান আমদানি বাবদ বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে বন্দরে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ছে। গত ১৫ জুলাই বন্দরের ৩ নম্বর শেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় ফায়ারম্যানদের।  

কমিটি ‘পি’ শেডে রাখা কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক পণ্যের তালিকা, কত দিন ধরে পণ্যগুলো আছে তার হিসাব, নিলাম বা ধ্বংসযোগ্য পণ্যের তালিকা করবে। এসব পণ্য বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় রাখার জন্য বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত কিনা দেখে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ দেবে। এর মধ্যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা তা চিহ্নিত করবে।  

কেমিক্যাল ও ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য হ্যান্ডলিং, সংরক্ষণ ও ডেলিভারির বিষয়ে কাস্টমস, বন্দর, বিস্ফোরক ও পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন ও নিয়ম পর্যাপ্ত আছে কিনা দেখে সুপারিশ দেবে।  

কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন বন্দর চেয়ারম্যান বরাবর পেশ করতে বলা হয়েছে।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি বন্দরের ৩ নম্বর শেডে দীর্ঘদিন খালাস না নেওয়া কিছু পণ্য আগুনে পুড়ে গেছে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় বন্দরে আসা কেমিক্যাল ও ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের অখালাসকৃত চালানের সর্বশেষ অবস্থা নিরূপণ ও করণীয় নির্ধারণের জন্য কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।    

>> চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে আগুন

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এআর/টিসি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।