ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সমন্বয়ের অভাবে সড়কে জনদুর্ভোগ মানা যায় না: সুজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
সমন্বয়ের অভাবে সড়কে জনদুর্ভোগ মানা যায় না: সুজন চসিক প্রশাসকের বেঁধে দেওয়া ২৪ ঘণ্টা শেষে পোর্ট কানেকটিং রোডে উচ্ছেদ অভিযান

চট্টগ্রাম: শুধু সমন্বয়ের অভাবে বিমানবন্দর সড়কে জনদুর্ভোগ মেনে নেওয়া যায় না মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।  

তিনি ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে ড্রেনের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, একইভাবে সড়কে বিভিন্ন খানা-খন্দের কারণে গাড়ি চলাচল ও জনগণের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে।

 

আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টিকারী ওয়াসার পাইপগুলো সরিয়ে নিতে এবং রাস্তায় যত গর্ত ও খানা-খন্দক আছে তা সংস্কার করে কার্পেটিংয়ের নির্দেশনা দেন।  

বুধবার (১২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়িত উড়ালসেতু ও এয়ারপোর্ট সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন সুজন।

 
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আমাদের । চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমরা যারা কাজ করছি তাদের মধ্যে সমন্বয় না হলে উন্নয়ন কার্যক্রমে কোনো সফলতা আসবে না। যেহেতু জনদুর্ভোগ লাঘবে নগরে রাস্তা-ঘাট তৈরি করা হয় সেহেতু কাজের ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ যাতে বেড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠিত নগরে এয়ারপোর্ট সড়ক হচ্ছে প্রবেশদ্বার। এখান থেকেই দেশি ও বিদেশি  অতিথিরা চট্টগ্রাম সম্পর্কে ধারণা নেবে। তাই শুধু সমন্বয়ের অভাবে এ সড়কে জনদুর্ভোগ মেনে নেওয়া যায় না।  

এয়ারপোর্ট সড়কের চলমান উন্নয়নকাজে সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চসিক। তাই প্রশাসক চসিকের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের এ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়ে ও কাজের গুণগতমান অক্ষুণ্ন রাখতে নির্দেশনা দেন।  

পরিদর্শনকালে চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক,  তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অলক দাশ, সিডিএ ফ্লাইওভার প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজ, ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রউফ, রাজনীতিক হারুনুর রশীদ, মো. ইলিয়াছ, সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, মো. হোসেন, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, সমীর মহাজন লিটন, জাইদুল ইসলাম দুর্লভ  প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পোর্ট কানেকটিং রোডে উচ্ছেদ অভিযান

চসিকের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে পোর্ট কানেকটিং রোডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।  

সাগরিকা মোড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রায় ২০টি কাঁচা-পাকা দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। এর মধ্যে হোটেল, সিমেন্টের দোকান, বাস কাউন্টার, গাড়ির গ্যারেজসহ অন্যান্য দোকানপাট রয়েছে। এতে প্রায় ১৫ গণ্ডা জায়গা উদ্ধার করা হয়। একই অভিযানে সাগারিকা মোড় থেকে নয়া বাজার এলাকা পর্যন্ত রাস্তার উভয় পোশে ড্রেনের ওপর স্তূপ করে রাখা মালামাল সরিয়ে দখলমুক্ত করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।  

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট)চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব অবৈধ দখলদারদের ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। এরই কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে বুধবার অভিযান পরিচালিত হয়।  

এ সময় চসিক ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে বলেন, যেহেতু সড়কে  উন্নয়নকাজ চলছে সেহেতু যেখানে প্রতিবন্ধকতা আসবে সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। অন্যদের জন্য এটি একটি বার্তা।  

অভিযানকালে চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ ও চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেন।

>> যেখানে বাধা সেখানেই লড়াই: চসিক প্রশাসক সুজন

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এআর/টিসি  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।