ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যেখানে বাধা সেখানেই লড়াই: চসিক প্রশাসক সুজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
যেখানে বাধা সেখানেই লড়াই: চসিক প্রশাসক সুজন পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়নকাজ পরিদর্শনে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

চট্টগ্রাম: নগরের গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়নকাজ পরিদর্শনে গিয়ে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমি রাত-দিন এই রাস্তায় থাকবো, আমি দেখতে চাই এখানে বাধা কোথায়? যেখানে বাধা-সেখানেই লড়াই। আমি ছাত্ররাজনীতি করে এ পর্যায়ে এসেছি রাস্তায়-ই আমার রাজনীতি আমি রাস্তাতেই থাকবো এবং সমাধান আনবো।

 


তিনি সাগরিকা মোড় থেকে নয়া বাজার পর্যন্ত সব অবৈধ স্থাপনা, ফুটপাতের ওপর বসানো দোকানপাট ও স্তূপ করা মালামাল আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন।  


মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) পোর্ট কানেকটিং সড়ক উন্নয়নকাজ সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন সুজন।


সুজন বলেন, চসিক প্রশাসক হওয়ার আগে থেকে এ রাস্তার হালচিত্র আমাকে ব্যতিত করতো। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পর পোর্ট কানেকটিং সড়কের কাজ তড়িৎ গতিতে সম্পন্ন করার প্রতিজ্ঞা করেছি। পুরো নগরের মধ্যে এ সড়কটি অতিগুরুত্বপূর্ণ অথচ কী অদৃশ্য কারণে এতদিন যাবত একাজ সম্পন্ন হলো না।  


এ সময় তিনি রাস্তার দুইপাশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যারা অবৈধভাবে চসিকের ড্রেন দখল করে জনচলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তাদের উদ্দেশে বলেন, আজ আমি আপনাদের একজন হয়ে বলে গেলাম, নিজ দায়িত্বে এসব অপসারণ করেন নচেৎ আগামীকাল আমাকে দেখবেন প্রশাসকের ভূমিকায়। এ সব অবৈধ স্থাপনা না সরালে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও জরিমানা গুনতে হবে।


চসিক প্রশাসক হেঁটে দীর্ঘ পথ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনসাধারণ ও পথচারীদের সঙ্গে তাদের সমসাময়িক দুর্ভোগ ও সমস্যার বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন। পোর্ট কানেকর্টি সড়কের কোথায় কী পদক্ষেপ নিলে বা কী ধরনের কাজ করলে ভালো হয় সে বিষয়েও অনেকের কাছে পরামর্শ নেন।


সুজন বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে যে সময় নষ্ট হয়েছে তা আর সহ্য করা হবে না। এখন শুধু কাজ আর কাজ। এ দুর্ভোগ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।  


ঠিকাদার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারী ও মৌসুমি বৃষ্টির কারণে সড়ক উান্নয়নকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে এলাকাবাসীসহ সড়ক ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন নতুন প্রশাসক যেভাবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সেভাবে কাজ সম্পন্ন করা হবে।  


এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন সেন, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোরশেদ আলম, সিরাজদৌল্লা নিপু, মোহাম্মদ বাবুল, আতিকুর রহমান, ফেরদৌস আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
এআর/এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।