ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রশাসক পদে আসার জন্য তদবির করিনি: সুজন

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২০
প্রশাসক পদে আসার জন্য তদবির করিনি: সুজন খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক পদে আসার জন্য কোনও চেষ্টা-তদবির করেননি বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন।

এক প্রতিক্রিয়ায় খোরশেদ আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, ৫০ বছর ধরে রাজনীতির মাঠে আছি।

দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, তার মর্যাদা আমি রক্ষা করবো।
 

সোমবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে খোরশেদ আলম সুজনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।  

প্রায় ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এখনও মাঠে থাকা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক সর্বশেষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছিলেন।

খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে মহসীন কলেজ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি সায়েন্সে ভর্তি হন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মরহুম আবদুল মান্নানসহ ছাত্রনেতারা মিলে গঠন করেন সংগ্রাম কমিটি। তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেন সুজন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী জালালাবাদ পাহাড় আক্রমণ করার পর আহত বাঙালি সৈন্যদের সেবা দেন সুজন সহ সহকর্মীরা। বিহারীরা তাকে দুইবার হত্যার চেষ্টা করলেও এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সোচ্চার ছিলেন খোরশেদ আলম সুজন।

১৯৯০-৯৮ সালে চট্টগ্রামে সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সংগঠনের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন সুজন। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধসহ অসহযোগ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সুজন।

৬২’র ঘরে পৌঁছানো এই রাজনীতিক এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীও ছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত বঞ্চিত হন। করোনাকালেও বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব আছেন সুজন। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানো, বেসরকারি হাসপাতালে অস্বাভাবিক বিল আদায় বন্ধ করা, সরকারি ত্রাণের চাল চুরিতে জড়িতদের ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আলোচনায় ছিলেন খোরশেদ আলম সুজন।

খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি এখনও অফিসিয়ালি চিঠি পাইনি। আগামীকাল (৫ আগস্ট) পর্যন্ত বর্তমান মেয়র দায়িত্বে আছেন। ৬ আগস্ট আমি দায়িত্ব নেবো। সিনিয়র সিটিজেন, প্রাক্তন মেয়র সহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই শহরকে বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়তে কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম শহরের প্রধান সমস্যা যানজট, ভাঙ্গা রাস্তা। এ ব্যাপারে নজর দেবো। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে আপগ্রেড করবো। হকারদের শৃঙ্খলায় আনতেও বিশেষ পরিকল্পনা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২০
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।