ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম সিজেএম’র ভার্চুয়াল কোর্টে জামিনের আবেদন ২৯৮৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২০
চট্টগ্রাম সিজেএম’র ভার্চুয়াল কোর্টে জামিনের আবেদন ২৯৮৫ চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন

চট্টগ্রাম:  করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম চলেছে ভার্চুয়ালে। অনলাইনের মাধ্যমে হয়েছে জামিনের আবেদন ও শুনানি, আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন ও নতুন অভিযোগ গ্রহণের কার্যক্রম।


চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৩ মে থেকে শুরু হয় ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম। চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৩ মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত পর্যন্ত আসামির জামিনের আবেদন দাখিল হয় ২৯৮৫টি।


অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় ৬২৯টি মামলায় ৬৯৩ জন আসামি জামিন পেয়েছেন এবং ২২৮১টি মামলায় ২৩১২ জন আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।


আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন শুরু হয় ৬ জুলাই থেকে। ৬ জুলাই থেকে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন জমা পড়েছে ৬৫৩টি। সকল আবেদন নিষ্পত্তিপূর্বক ৬২৭টি মামলায় ৬৪৩ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়। অপরাধের ধরণ ও গুরুত্ব বিবেচনায় ২৬ মামলায় ২৯ জন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।


নুতন অভিযোগ গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয় ১৪ জুলাই থেকে। ১৪ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত নতুন মামলা দায়ের হয়েছে ২১২টি।


সীমিত আকারে আদাতলের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে একচুয়াল কোর্টকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই জোনে ভাগ করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।


প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমি নিজের রোস্টার ডিউটির অংশ হিসেবে বিচারিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তিনজন বিচারক ও তিনজন সহায়ক কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত দুইজন বিচারক ও তিনজন সহায়ক কর্মচারী সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। ২৪ জুলাই থেকে একজন বিচারক আইসোলেশনে আছেন।


চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  


এদিকে ৫ আগস্ট থেকে দেশের সব অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৩০ জুলাই এ বিষয়ে পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।


গত ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুলকোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি। ওইদিনই নিম্ন আদালতের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এরপর থেকে নিম্ন আদালতে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২০
এসকে/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।