চট্টগ্রাম: ১৬ থেকে ৩০ বর্গফুটের একটি গরুর চামড়া সরকার নির্ধারিত দামে আসে ৯শ টাকার বেশি। কিন্তু মিলেছে ৩শ-৪শ টাকা।
গত বছরের অভিজ্ঞতায় এবার ছিল না মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের তৎপরতা।
শনিবার (১ আগস্ট) নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া সংগ্রহ করে চৌমুহনী এলাকায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে আড়তদারের প্রতিনিধিরা চামড়া কিনে আতুরার ডিপো এলাকায় আড়তে পাঠিয়ে দেন। রোববার (২ আগস্ট) সকালেও এসেছে বেশ কিছু চামড়া।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব আলম জানান, চট্টগ্রামের বাইরে বিভিন্ন উপজেলা থেকেও চামড়া আসবে। আগে কাঁচা চামড়া নিয়ে আসা হতো। এবার লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করার পর চামড়াগুলো আড়তে আনতে বলা হয়েছে।
এ বছর চট্টগ্রামে গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ধরা হয় ১৩ থেকে ১৫ টাকা ও বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা।
আড়তদারের প্রতিনিধি মনুলাল বড়ুয়া জানান, ‘অন্যান্য বছরগুলোতে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের তৎপরতা ছিল বেশি। গতবছরও বেশি দাম চাওয়ায় কিনতে পারিনি। এতে নষ্ট হয়ে যায় অনেক চামড়া। এবছর তুলামূলক সস্তায় চামড়া কিনতে পেরেছি। ’
এদিকে নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় চামড়ার আড়তগুলোতে সংগ্রহ করা কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ কাজ চলছে পুরোদমে। রোববার (২ আগস্ট) দুপুরে চামড়া পরিষ্কার করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির ১১২ জন সদস্য ছাড়াও আরও ১৫০ জন ব্যবসায়ী কোরবানির চামড়া কেনাবেচায় জড়িত। আড়তদাররা জানান, আতুড়ার ডিপোর বিভিন্ন আড়তে কোরবানির দিন দুপুরের পর থেকেই চামড়া আসতে শুরু করে। এবার কোরবানি তুলনামূলক কম হওয়ায় চামড়া সংগ্রহও হয়েছে কম।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত দামেই আমরা চামড়া কিনছি। লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া প্রতিটি লবণের খরচ বাবদ ৫-৬ টাকা কম দেওয়া হচ্ছে। চামড়া এখনও আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২০
এসি/টিসি